parbattanews

ভুয়া তথ্যের প্রসার ঠেকাতে ব্যর্থ ফেসবুক: নোবেলজয়ী মারিয়া রেসা

ঘৃণা ও ভুয়া তথ্য ছড়ানো নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে ফেসবুক। এর মধ্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি গণতন্ত্রের জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শান্তিতে নোবেলজয়ী ফিলিপাইনের সাংবাদিক মারিয়া রেসা এ মন্তব্য করেছেন।

নোবেল জয়ের পরে প্রবীণ সাংবাদিক ও ফিলিপাইনের নিউজ সাইটের প্রধান রেসা রয়টার্সকে একটি সাক্ষাৎকার দেন। সেখানে তিনি বলেন, ফেসবুকের অ্যালগরিদম ‘সত্যের চেয়ে রাগ, ঘৃণা ও মিথ্যার বিস্তারে বেশি ভূমিকা রাখে। ফেসবুক বিশ্বের সবচেয়ে বড় সংবাদ পরিবেশক হয়ে উঠেছে স্বীকার করে রেসা বলেন, ‘তবু এটি সত্যের বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্ট, সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্ট।’

তথ্যের সত্যতা নির্ধারণে ফেসবুকের ভূমিকা প্রসঙ্গে এই সাংবাদিক বলেন, ‘আপনার কোনো সত্যতা না থাকলে আপনার কাছে সত্য থাকতে পারে না। সত্য-মিথ্যা আলাদা করতে না পারলে আপনার গণতন্ত্র নেই। এ ছাড়া তথ্য না থাকলে আপনার বাস্তবতা নেই। এমন অবস্থায় আপনি জলবায়ু, করোনাভাইরাসের অস্তিত্বগত সমস্যার সমাধান করতে পারবেন না।’

প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তের সমর্থকেরা ফেসবুকে রেসার বিরুদ্ধে তীব্র বিদ্বেষমূলক প্রচারণা চালিয়েছে। মূলত তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করার উদ্দেশ্যে এমন করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া তথা অনলাইন আক্রমণকে অস্ত্রের মতো ব্যবহার করা হয় বলেও মন্তব্য করেন এই সাংবাদিক।

ফেসবুকের কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির এক সাবেক কর্মকর্তার পরে নোবেলজয়ী রেসার এই মন্তব্য ফেসবুকের ওপর থাকা চাপকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

৩০০ কোটির বেশি লোকের ব্যবহৃত ফেসবুক প্রসঙ্গে রেসার এই মন্তব্য প্রসঙ্গে ফেসবুকের একজন মুখপাত্র বলেন, সামাজিক মিডিয়া জায়ান্ট ফেসবুক ক্ষতিকারক বিষয়বস্তুর অপসারণ ও কমাতে প্রচুর বিনিয়োগ করে যাচ্ছে। ফেসবুক সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে এবং বিশ্বজুড়ে সংবাদ সংস্থা ও সাংবাদিকেরা গুরুত্বপূর্ণ কাজ চালিয়ে যাওয়ায় তাঁদের সমর্থন করে বলেও উল্লেখ করেন এই মুখপাত্র।

প্রসঙ্গত, রুশ সাংবাদিক দিমিত্রি মুরাতভের সঙ্গে যৌথভাবে শান্তিতে এবারের নোবেল জিতেছেন মারিয়া রেসা। মত প্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে লড়াইয়ের স্বীকৃতি হিসেবে গত শুক্রবার তাঁদের নাম ঘোষণা করা হয়। ফিলিপাইন ও রাশিয়ার নেতাদের দুর্নীতি ও দুঃশাসন উন্মোচন করার জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হয়।

সূত্র: আজকের পত্রিকা

Exit mobile version