parbattanews

ভূমি কমিশনের বৈঠকের প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতেও হরতাল পালনের আহ্বান পাঁচ বাঙালি সংগঠনের

Khagrachari Picture(03) 03-09-2016 copy

নিজস্ব প্রতিবেদক:

পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনের বৈঠকের প্রতিবাদে রবিবার তিন পার্বত্য জেলায় হরতাল কর্মসূচীর অংশ হিসেবে খাগড়াছড়িতেও সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালনের আহ্বান জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট পাঁচ বাঙালি সংগঠন। হরতাল আহবানকারী সংগঠনগুলো হচ্ছে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলন, পার্বত্য গণ পরিষদ, বাঙালি ছাত্র পরিষদ ও পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র ঐক্য পরিষদ।   হরতালের সমর্থনে শনিবার বিকালে খাগড়াছড়িতে মিছিলের কর্মসূচী রয়েছে বাঙালি ছাত্র পরিষদের।

এদিকে পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনের সচিব মো: রেজাউল করিম বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রবিবার সকাল ১০টায় রাঙামাটিস্থ পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে যোগ দিতে ইতিমধ্যে কমিশনের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ার-উল হক রাঙামাটি পৌঁছেছেন।

এদিকে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে রবিবারে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল সফল করার আহ্বান জানিয়ে পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন ভূঁইয়া বলেন, সরকার বাঙালিদের দাবীর প্রতি বৃদ্ধাঙ্গূল দেখিয়ে তড়িগড়ি করে পার্বত্য পার্বত্য  ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন ২০০১-এর সংশোধনী ২০১৬ বাস্তবায়নের জন্য খাগড়াছড়িতে অবস্থিত কমিশনের প্রধান কার্যালয় বাদ দিয়ে  ৪ঠা সেপ্টেম্বর রাঙামাটিতে বৈঠক ডেকেছে। বিবৃতিতে কমিশন আইনকে বিতর্কিত দাবী করে আইনটি বাতিলসহ আহুত বৈঠক স্থগিত করার দাবী জানানো হয়।

উল্লেখ্য, দায়িত্ব গ্রহনের প্রায় দুই বছর পর এটি হবে পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনের পঞ্চম চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ার-উল হকের  প্রথম বৈঠক। ২০১৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর এই সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে পার্বত্য ভূমি কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। একই মাসে ১৩ (সেপ্টেম্বর) তিনি যোগদান করেন। তবে আইন সংশোধনের পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের দাবীর মুখে তিনি এতো কাজ শুরু করতে পারেননি।

অবশেষে গত ১ লা আগষ্ট প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ভেটিং সাপেক্ষে পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন (সংশোধন) আইন-২০১৬ এর খসড়ার নীতিগতভাবে অনুমোদন দেওয়া হয় এবং ৯ আগষ্ট তা অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়।

Exit mobile version