parbattanews

ভেঙ্গে দেওয়ার পরও ইটভাটা চালুর অভিযোগ

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে ছাড়পত্র, নবায়ন বিহীন, পাহাড় কাটা ও বনের কাঠ পুড়ানোর অভিযোগে ইটভাটায় অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া আফরিন কচি ওই অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানকালে দুই ইটভাটা কর্তৃপক্ষকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা গেছে, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের বৈদ্যছড়া এলাকায় আলহাজ্ব ফজল করিম ও ঘুমধুম ইউনিয়নের ফাত্রাঝিরি এলাকায় আসিফ মো. সাইফুল ও শহিদুল এর মালিকানাধীন লাইসেন্স বিহীন ইটভাটায় পাহাড় কাটা, জ্বালানী হিসেবে বনের কাঠ পুড়ানোর অভিযোগে অভিযান চালানো হয়। এসময় প্রত্যেক ইটভাটাকে ৫০ হাজার টাকা করে মোট ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভাটাগুলোর অনুমতিপত্রও ছিলনা।

অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক সাদিয়া আফরিন কচি বলেন, পাহাড় কাটাসহ কয়েকটি অভিযোগে তিনটি ইটভাটায় অভিযান চালানো হয়েছিল। তবে একটি ভাটায় কাউকে পাওয়া যায়নি। বাকী দুটি ভাটাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ঘুমধুমের অন্য ইটভাটাগুলোতেও পর্যায়ক্রমে অভিযান চালানো হবে।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ১২ জানুয়ারি ঘুমধুমের রেজুপাড়ায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা হায়দার আলীর মালিকানাধীন এইচকেবি ব্রিক্স, ফাত্রাজিরি এলাকার আসিফ মো. সাইফুল ও শহিদুল এর মালিকানাধীন এসএইচবি ব্রিক্স এবং সাজু বড়ুয়া ও হোসাইন এর মালিকানাধীন এইচএসবি ইটভাটাকে ৮ লাখ টাকা জরিমানা করেছিল পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমান আদালত। ওই সময় ভাটাগুলোর অবৈধ ড্রাম চিমনী ভেঙ্গে দেওয়া হয়। কিন্তু দুদিনের মাথায় পুনরায় ভাটাগুলো চালু করে অবৈধভাবে ইট পুড়ানো কার্যক্রম চালাচ্ছে ইটভাটার মালিকরা।

এই বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মুফিদুল আলম এর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পরিবেশ বিধ্বংসী সবধরনের কাজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

Exit mobile version