মৎস ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী মো. ছায়েদুল হক বলেছেন, ভেড়া উৎপাদনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মাংস ও দুধের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে। উৎপাদন বৃদ্ধি হলে যেমন বৈদেশিক মুদ্রা বেচে যাবে তেমনি কৃষকরা স্বাবলম্বী হবে। এছাড়া ভেড়ার লোম বিক্রি করেও কৃষকদের বাড়তি টাকা আয় করার সুযোগ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সমাজভিত্তিক ও বাণিজ্যিক খামারে দেশি ভেড়ার উন্নয়ন ও সংরক্ষন বিষয়ক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, তিন পার্বত্য জেলায় অসংখ্য ক্রীক বাঁধ নির্মাণের ফলে মৎস্য চাষ বৃদ্ধি পেয়ে অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হয়েছে এলাকার যুবকরা। এসব প্রকল্পের মাধ্যমে দরিদ্রতার অভিশাপ থেকে মুক্ত হয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে বলে তিনি আশা করেন।
বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি, মৎস ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সচিব মাকসুদুল হাসান খান, মৎস ও প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অজয় কুমার রায়, জেলা প্রশাসক দীলিপ কুমার বণিক, পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
ডা. আমানুল ইসলাম বলেন, দেশিয় জাতের ভেড়া পালন খুব লাভ জনক। ভেড়া বছরে দুবার বাচ্ছা দেয়। ভেড়ার দুধ যেমন পান করা যায় তেমনি লোম প্রতি কেজী ১০০ টাকা দরে বিক্রিও করা যায়। পরে ২০ জন কৃষককে বিনামূল্য ৩টি করে মোট ৬০টি ভেড়া বিতরণ করা হয়।