parbattanews

মংসাজাই চৌধুরী স্বরণে গুইমারায় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন

গুইমারা প্রতিনিধি:

শান্তি কমিটির অন্যতম সদস্য ও হাফছড়ি ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান (বর্তমান খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরীর পিতা) প্রয়াত ‘মংসাজাই চৌধুরী স্মৃতি অনুর্ধ্ব-১৮ গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট’১৮ শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫সেপ্টেম্বর) বিকেলে গুইমারা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এর উদ্বোধনী ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রয়াত মংসাজাই চৌধুরী গুইমারা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য অঞ্চলে ২১সদস্য বিশিষ্ট গঠিত শান্তি কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন।

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে টুর্নামেন্টের শুভ সূচনা করেন।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (যুগ্ম সচিব) মোঃ নূরুজ্জামান, সিন্দুকছড়ি জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল রুবায়েত মাহমুদ হাসিব পিএসসি জি, গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়ুয়া, গুইমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান মেমং মারমা প্রমুখ।

উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে কংজরী চৌধুরী বলেন, বর্তমানে যুব সমাজের যে নৈতিক অবক্ষয় ঘটছে তা থেকে উত্তরণের জন্য খেলাধুলার বিকল্প নাই। নিয়মিত খেলাধুলা যুব সমাজকে নৈতিক অবক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার শিক্ষার পাশাপাশি দেশ ব্যাপী খেলাধুলা প্রসার ঘটানোর লক্ষ্যে নানা কর্মসুচী গ্রহণ করেছে।

তিনি আরো বলেন, সন্ত্রাস নৈরাজ্য কখনও জাতি বা দেশের কল্যাণ ও উন্নয়ন করতে পারে না, আর ক্রীড়াপ্রেমীরা কখনও সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য করতে পারে না। প্রয়াত মংসাজাই চৌধুরীকে আধুনিক গুইমারার রুপকার, এলাকার কৃর্তি সন্তান ও পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের রুপকার এবং সফল সমাজ কর্মী হিসেবে উল্লেখ করে তার স্মৃতির স্মরণে এবং এলাকার ক্রীড়াঙ্গণে নতুন মাত্রা যোগ করে জাতীয় মানের খেলোয়াড় তৈরী করার জন্য এ টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান।

টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির আহবায়ক সাহলাপ্রু মারমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, হাফছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান চাইথোয়াই চৌধুরী, সিন্দুকছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান রেদাক মারমা, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মংসাথোয়াই মগ সহ উপজেলা এলাকার জনপ্রতিনিধি ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। গুইমারা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ব্যাপক সংখ্যক ক্রীড়াপ্রেমী দর্শকের উপস্থিতিতে মাঠ পরিপূর্ণ হয়ে উঠে। নক আউট পদ্ধতির এ টুর্নামেন্টে গুইমারা উপজেলার মোট ১৬টি দল অংশগ্রহণ করছে। উদ্ধোধনী ম্যাচে গুইমারা কলেজ একাদশ বনাম গুইমারা একাদশের মধ্যেকার খেলা অনুষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ্য, জানা যায়, ১৩ জানুয়ারি ১৯৮৯ সালে তৎকালীন পার্বত্য অঞ্চলে শান্তিবাহীনির সদস্যরা রাতের অন্ধকারে নিজ বাড়ি থেকে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এর পর থেকে তার কোনো খোজ পাওয়া যায়নি বলে জানায় তার পরিবার।

Exit mobile version