parbattanews

‘মনের অনুভূতি প্রকাশের সর্বোত্তম মাধ্যম হলো সাহিত্য: খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক

খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বলেন, ‘সব মানুষের জীবনেই সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা, হাসি-খুশির বিষয়-আশয় থাকে। কবি সাহিত্যিকরা সেসব বিষয় হৃদয়গ্রাহী করে সবার কাছে বোধগম্য করে তোলেন।’

সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে এবং বাংলা একাডেমির সহযোগিতায় খাগড়াছড়িতে বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে টাউন প্রাঙ্গণে দুই দিনব্যাপী জেলা সাহিত্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, ‘সাহিত্য কখনো কখনো জাতীয় জীবনের উত্থান-পতনেও ভূমিকা রাখে। যেমন আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে কবি-সাহিত্যিক-সাংবাদিক ও শিল্পীদের অসামান্য অবদান ছিলো।’

তিনি খাগড়াছড়ির সাহিত্যসেবীদের উন্নয়ন এবং সাহিত্যচর্চার অগ্রগতিতে জেলা প্রশাসনের অব্যাহত ভূমিকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাজমুন আরা সুলতানা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী বাংলা একাডেমি’র উপ-পরিচালক-খ্যাতিমান গবেষক ড. সাইমন জাকারিয়া’র স্বাগত বক্তব্য দিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোছাম্মৎ সুস্মিতা ইসলাম এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেএইচএম এরশাদ।

দীপালোক আবৃত্তি কুঞ্জ’র সংগঠক প্রতিভা ত্রিপুরার উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন যথাক্রমে বিশিষ্ঠ লেখক ও কবি মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি সরকারি মহিলা কলেজ’র শিক্ষক কৃতি চাকমা এবং খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ’র জনসংযোগ কর্মকর্তা ও প্রাবন্ধিক চিংলামং চৌধুরী।

পরে মঞ্চে চর্যাপদের গান পরিবেশন করেন, লালন ঘরানার সুখ্যাত শিল্পী সাধিকা সৃজনী তানিয়া এবং স্থানীয় নৃত্য-গীত ও আবৃত্তি শিল্পীরা।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় দুই দিনের জেলা সাহিত্য মেলা শেষ হবে।

Exit mobile version