parbattanews

মহালছড়িতে অবাধে আম গাছ কেটে কাঠ চোরাই পথে পাচার হচ্ছে

Mengo forrest truck 

মহালছড়ি প্রতিনিধি:

পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি উপজেলায় বেপরোয়া ভাবে আম গাছ কেটে চোরাই পথে কাঠ পাচারের ফলে সবুজ পাহাড়ের ফলজ গাজ উজাড় হচ্ছে। সবুজ পাহাড় থেকে আম গাছ কেটে পাহাড়কে সাদা বানিয়ে ফেলছে এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল। বর্তমানে কাঠ পাচার সহ সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে মহালছড়ি কাঠ ব্যাবসায়ী সমবায় সমিতি সহ এলাকার কিছু ক্ষমতাশালী ব্যাক্তি। এ নিয়ে মহালছড়িতে বসবাসরতদের মধ্যে নানা প্রশ্ন ও উত্তরের মিশ্র প্রতিক্রিয়া থাকলেও তার সঠিক কোন সমাধান পাচ্ছেনা এলাকাবাসী।

সূত্রে জানা যায়, এলাকার কিছু প্রভাবশালী কাঠ ব্যবসায়ী দৈনিক মহালছড়ি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ২ থেকে ৪ ট্রাক পর্যন্ত আম গাছের কাঠ পাচার করছে দেশের সমতল অঞ্চলে। আর এতে বন বিভাগ কর্তৃপক্ষের বাধা দেওয়া ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার কথা থাকলেও তারা সেটি না করে  আম গাছের গাড়ী হতে ট্রাক প্রতি মোটা অংকের টাকা নিয়ে পুরোদমে হাত গুটিয়ে বসে রয়েছে।

সূত্রে আরো জানা যায়, মহালছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদ, ক্যায়াংঘাট ইউনিয়ন পরিষদ সহ আরো কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান থেকে একটি কাগজে সুপারিশ নিয়ে কাঠ ব্যাবসায়ীরা এসকল আম কাঠ পাচার করছে । ক্যায়াংঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কিরন চাকমা নিজেও এ কাঠের ব্যাবসার সাথে জড়িত। তাই তিনি তার নিজের সুপারিশ নিয়ে প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে নিয়ম নীতিকে তোয়াক্কা না করে নিজেই আম গাছের ব্যাবসা করছেন।

আম গাছের ট্রাকগুলি যাতে নির্ভিগ্নে সমতলে পাচার করতে পারে সে জন্য এলাকার বেশ কিছু মহলকে ট্রাক প্রতি ‘সম্মানী’ পাঠায় এই অসাধু ব্যাবসায়ীরা। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দায়িত্বে অবহেলা ও উদাসীনতার কারনে পার্বত্য অঞ্চল থেকে কাঠ পাচারে চোরাই কাঠ ব্যাবসায়ীরা আবারো সক্রিয় হয়ে উঠেছে।

মহালছড়ির কু-চক্র মহলটি তাদের নিরাপদ ট্রানজিট হিসেবে বেছে নিয়েছে মহালছড়ি-রাঙ্গামাটি- মানিকছড়ি-চট্টগ্রাম সড়ক ও মহালছড়ি-খাগড়াছড়ি-রামগড়-ফেনী কে। উপরোক্ত এলাকাগুলো দিয়ে ঢাকায় পাচার করা হচ্ছে আম গাছ সহ অন্যান্য কাঠ। চোরাই কাঠ পাচার প্রতিরোধে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন

Exit mobile version