parbattanews

মহালছড়িতে জ্ঞানোদয় কেন্দ্রীয় বন বিহারে কঠিন চীবর দানানুষ্ঠান সম্পন্ন

Gyanodoy Bana bihar Picture 1

নিজস্ব প্রতিনিধি, মহালছড়িঃ 

খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে জ্ঞানোদয় কেন্দ্রীয় বন বিহারে বিপুল উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে মিগার মাতা বিশাখা কর্তৃক প্রদত্ত রীতিনীতি অনুযায়ী ২ দিনব্যাপী বৌদ্ধ ধর্মীয় মতে দানোত্তম কঠিন চীবর দানানুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। রবিবার বেইন (তাঁত) শিল্পীদের পঞ্চশীল গ্রহণ, বিহারাধ্যক্ষ কর্তৃক বেইন বুনন উদ্বোধন, হাজার বাতি প্রজ্জ্বলন ও ধর্মীয় নাটক প্রদর্শিত হয়।

সোমবার বুদ্ধ পতাকা উত্তোলন, ধর্মীয় সংগীত পরিবেশনা, পঞ্চশীল গ্রহণ, বুদ্ধ পুজা, ভিক্ষু সংঘের ধর্মীয় দেশনা ও ধর্মীয় আলোচনা করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান সংঘ নায়ক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নানিয়ারচর রত্নাঙ্কুর বন বিহারের বিহারাধ্যক্ষ শ্রীমৎ বিশুদ্ধানন্দ মহাস্থবির। ধর্মদেশক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পানছড়ি শান্তিপুর অরণ্য কুঠির এর উপধ্যক্ষ শ্রীমৎ প্রজ্ঞা কীর্তি স্থবির। জ্ঞানোদয় বন বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি সুকুমার চাকমার সঞ্চালনায় ও পরিচালনা উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি নিপুল বিকাশ খীসার সভাপতিত্বে ধর্মীয় আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ সদস্য জুয়েল চাকমা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহালছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কান্তি চাকমা, মহালছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আশফাকুল নুমান।

ধর্মীয় দেশনা কালে ভিক্ষুগণ বলেন, পরম কল্যাণমিত্র তথাগত ভগবান সম্যক সম্মুদ্ধের শাসণে তথাগত বুদ্ধ ও ভিক্ষুসংঘের অনন্ত গুণে ত্রিশরণ যজ্ঞসহ পূণ্য কর্মের প্রভাবে সকল প্রকার হিংসা-বিদ্বেষ, ভেদাভেদ, দ্বন্দ্ব-সংঘাত, দুর্ভিক্ষ, রোগ-শোক, বৈরীতা, দূর করতে হবে। এতে সমগ্র বিশ্ব ধন-ধান্যে পুরিপূর্ণ হয়ে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য উত্তরোত্তর শ্রীবৃদ্ধি লাভ করে সকলেই সুখ ও শান্তি লাভ করতে পারবে।

ধর্মীয় আলোচনাকালে বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকার ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী। সকলেই ধর্মীয় চেতনাকে লালন করে শান্তি প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসতে হবে। এলাকায় শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় থাকলে সরকার সকল ক্ষেত্রে উন্নয়ন করতে বদ্ধপরিকর। বক্তারা বর্তমান সরকারের প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা রাখার আহবান জানান।

Exit mobile version