মহালছড়ি প্রতিনিধি :
খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে অবৈধ ইট ভাটা। ইটভাটার মালিকদের বৈধ কোন কাগজ পত্র ছাড়াই প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জোরেশোরে চালিয়ে যাচ্ছে এই অবৈধ ব্যবসা। মহালছড়ি-খাগড়াছড়ি মেইন সড়কের পাশেই জ্বলছে ইটভাটার চুল্লী।
সরকারিভাবে ১২০ ফুট উচ্চতা সম্পন্ন উন্নত চিমনি ব্যবহার এবং জিগজ্যাগ কিলন, হাইব্রিড হফম্যান কিলন, ভার্টিক্যাল শ্যাফট কিলন পদ্ধতি অনুসরণ করার নির্দেশ থাকলেও কোন কিছু তোয়াক্কা না করে অবৈধ ভাবে মাত্র ৩০/৪০ফুট উচ্চতায় টিনের চিমনি দিয়ে পোড়ানো হচ্ছে ইট। এই ইটভাটা গুলোতে জ্বালানী হিসেবে প্রতিদিন ব্যবহার হচ্ছে হাজার হাজার মণ শিশু গাছ। পাহাড় ও জমির উপরিভাগের উর্বর অংশ গুলো কেটে ইটভাটায় সরবরাহ করা হচ্ছে মাটি। যার ফলে পরিবেশের মারাত্বক দুষণ হচ্ছে। ধ্বংস হচ্ছে বনজ সম্পদ, বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ। ফলে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। এদিকে এর প্রভাবে শিশুদের পাশাপাশি সুস্থ মানুষরাও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, প্রতিবছর এ অবৈধ ইটভাটাগুলোতে হাজার হাজার শিশুগাছ কেটে জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। প্রতিনিয়ত ইটভাটা গুলোর কারণে পাহাড় ন্যাড়া হয়ে যাচ্ছে। এ যাবত প্রশাসনের এ ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে দেখা যায়নি। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দুর্বলতার কারণে অবৈধভাবে ইটভাটাগুলো চলছে বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে ইটভাটার মালিকদের সাথে কথা বললে তারা জানান, বৈধ কোন কাগজ পত্র না থাকলেও আমরা প্রচলিত নিয়মে ইটভাটাগুলো চালাচ্ছি। এখানে জ্বালানী হিসেবে কয়লা ব্যবহার করা সম্ভব নয়। তাই মালিকানাধীন বাগানের অপ্রয়োজনীয় গাছ গুলো কেটে নিয়ে আসলে আমরা জ্বালানী হিসেবে এগুলো ব্যবহার করি।
এ বিষয়ে মহালছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেখ ফরিদ আহামেদ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অবৈধ ইটভাটা গুলোর ব্যাপারে দু’একদিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।