মহালছড়িতে বিলকিসের হত্যার মামলা করলেও তদন্ত নিয়ে রহস্যজনক ভুমিকায় পুলিশ

Untitled-1

আল-মামুন,খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :
খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি উপজেলায় বিয়ের পাঁচ দিনের মাথায় বিলকিস আক্তার (২১) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মুত্যুর ঘটনার প্রায় দেড় মাস অতিবাহিত হতে চললেও তদন্ত নিয়ে গড়িমসি করছে পুলিশ। প্রকাশ্যে পুলিশের সামনে দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে হত্যা মামলার অভিযুক্ত আসামী রঞ্জু মিয়াসহ অন্যা্ন্য আসামীরা।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, বিলকিস হত্যা মামলার অভিযুক্ত আসামীদের বাঁচাতে তদন্তকারী কর্মকর্তা কাজ করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ঘটনার দিন খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিলকিসকে মৃত্যু  ঘোষণা করার পর থেকে অভিযুক্ত রঞ্জু মিয়া পালাতক থাকলেও তদন্তকারী কর্মকর্তার সাথে মোটা অংকের অর্থ লেনদেনের পর থেকে সে বর্তমানে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এছাড়াও মামলার বাদীদের সমঝোতার জন্য বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নিহত বিলকিস আক্তারের পরিবারের অভিযোগ, গত ২২ জানুয়ারি দুপুরে রঞ্জু মিয়া তার দলবল নিয়ে কমান্ডো স্টাইলে বিলকিসের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। বিলকিসের পিতা বলেন, সে আমার মেয়েকে অপহরণের পর পিটিয়ে হত্যা করেছে।

জানা যায়, শান্তিনগরে তিন সন্তানের জনক রঞ্জু মিয়া (২৮) নিজেকে অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে চৌংড়াছড়ির জাফর আহমেদের মেয়ে বিলকিস আক্তারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে কয়েকদিন আগে খাগড়াছড়িতে কোর্ট ম্যারেজ করে। বিষয়টি জানাজানি হলে গত ২২ জানুয়ারি কমান্ডো স্টাইলে বিলকিসের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। এ ঘটনার ৪ দিন পর রঞ্জুর বাড়ীতে বিলকিসের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে মহালছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ সেমাইয়ুন কবির জানান, রঞ্জু মিয়া আগের বিয়ের কথা গোপন করে বিলকিস আক্তারকে বিয়ে করে। এক পর্যায়ে বিলকিসকে গুরুত্বর অসুস্থ অবস্থায় প্রথমে মহালছড়ি ও পরে খাগড়াছড়ি হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় মামলার অগ্রগতি সমন্ধে তিনি বলেন, রহস্য জনক এ মৃত্যুর ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে,বর্তমানে মামলাগুলো আদালতে রয়েছে।

পুলিশের ভূমিকা : এ ঘটনার পর থেকে মহালছড়ি থানা পুলিশের ভুমিকা ছিল রহস্যজনক। কারন বিলকিসের হত্যার অভিযোগ এনে তার পরিবারের পক্ষ থেকে একের পর এক লিখিত অভিযোগ করে আসলেও মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসলে বিভিন্ন মিডিয়ায় বিষয়টি জানাজানি হয়ে যাওয়ায় পুলিশ মামলা নিতে বাধ্য হয়। পুলিশ সম্পন্ন ঘটনার বিবরণ জানলেও কেন মামলা নিতে অনিহার পর তা গ্রহণ করলেও কেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে না এমন প্রশ্নের জবাবে নিহতের পিতা জাফর অভিযোগ করেন, তদন্তকারী কর্মকর্তা অর্থের কাছে বিক্রয় হয়ে গেছে।

এ ঘটনায় নিহতের পিতা জাফর আহম্মদ বাদী হয়ে মহালছড়ি থানায় লিখিত অভিযোগে দেখা যায় – ঘটনার মুল নায়ক রঞ্জু মিয়া, আনোয়ার হোসেন, জুয়েল ও সামসুল মাষ্টার,শাহীনা বেগম, আয়েশা বেগম, রাবেয়া বেগমকে আসামী করা হয়েছে। আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে ঘটনার আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে বলে স্থানীয়রা জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন