parbattanews

মহালছড়ি সদর উপজেলার দুই গ্রামে এখনও পৌঁছেনি বিদ্যুতের আলো

বাতির নিচে অন্ধকার মহালছড়ি সদর উপজেলার দুই গ্রাম, যেখানে এখন পর্যন্ত পৌঁছায়নি বিদ্যুতের আলো।

খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি উপজেলায় ১ নং সদর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের দুই গ্রাম মুড়াপাড়া ও যৌথখামার ত্রিপুরা পাড়ার অধিবাসিরা এই প্রযুক্তির যুগেও প্রযুক্তির সব সুযোগ সুবিদা থেকে বঞ্চিত। এই গ্রামে এখন ও পৌঁছায়নি বিদ্যুতের আলো।

অনেকটা বাতির নিচে অন্ধকারের মত। যেখানে সদর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে সেখানে সদরের ভিতরে থাকা এই দুই গ্রামের বাসিন্দারা এখনও পাইনি বিদ্যুতের আলো।

যার ফলে এই প্রযুক্তির যুগে সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এই দুই গ্রামের বাসিন্দারা। অথচ গ্রামের পাশ দিয়ে গেছে বিদ্যুতের লাইন। রাস্তার এক পার্শ্বে বিদ্যুৎ আছে অন্য পার্শ্বে বিদ্যুৎ নেই।

এই দুই পাড়ায় রয়েছে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইউনিসেফ এর দুটি স্কুল, বৌদ্ধ মন্দির একটি, কালি মন্দির একটি ও একটি ত্রিপুরা ছাত্রাবাস ।

স্কুলগুলোতেও ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। বাংলাদেশ সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত করা। এই ভাবে গ্রাম তথা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ জনগুরত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে অন্ধকারে রেখে কখনও ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত করা সম্ভব নই বলে অভিমত এলাকাবাসীর।

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী মুজিববর্ষ উদযাপনের ভিতর ২০২০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে সমগ্র বাংলাদেশে তথা গ্রামের আনাচে কানাচে বিদ্যুতের আলো পৌঁছে দেওয়া। এই আশায় প্রহর গুনছেন উক্ত গ্রামের বাসিন্দারা। এই গ্রামে প্রায় ২০০ পরিবারের ১ হাজার লোকের বসবাস।

উক্ত গ্রামের বাসিন্দা বিনন্দ ত্রিপুরা বলেন, এই গ্রামের বাসিন্দাদের আধুনিক সুযোগ সুবিধার জন্য বিদ্যুতের কোনো বিকল্প নেই। বিদ্যুতের জন্য ছেলেমেয়েদের পড়াশুনাসহ সবকিছুর  সমস্যা পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীর।

উক্ত গ্রামের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দোঅংপ্রু মারমা বলেন, উক্ত সমস্যার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম বিদুৎ বিতরণ উন্নয়ন প্রকল্প, রাঙামাটি বরাবর আবেদন করা হয়েছিলো। উক্ত প্রকল্পের একজন কর্মকর্তা সরেজমিনে এসে দেখে গেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো সুফল পাওয়া যায়নি।

এই বিষয়ে মহালছড়ি বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নব যোগদানকৃত আবাসিক প্রকৌশলী ইরাতোষ চাকমার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এই রকম বিদ্যুৎ সরবরাহ পার্বত্য চট্টগ্রাম বিদুৎ বিতরণ উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে হয়ে থাকে। তবে তিনি চেষ্টা করবেন যাতে উক্ত এলাকার বাসিন্দারা বিদ্যুতের সংযোগ পাই।

এই ব্যাপারে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিদুৎ বিতরণ উন্নয়ন প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী আসফাকুর রহমান মুজিব’র সাথে মুঠোফোন যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মুজিববর্ষের ভিতরে(পরবর্তী বাজেটে) উক্ত এলাকায় বিদুৎ সংযোগ দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।

Exit mobile version