parbattanews

মহাসেন: উপকূলবাসীকে রাতে সজাগ থাকতে মাইকিং

944216_617714764923167_1563661123_n

আবদুল্লাহ নয়ন,

কক্সবাজার: ধীরে ধীরে শক্তি সঞ্চার করে আরো ঘণীভূত হয়ে উপকূলের দিকে আরো ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’। ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’র সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবেলায় কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে শহরের বিভিন্ন নিন্মাঞ্চল গুলোতে জনসাধারণকে সজাগ থাকতে ‘মাইকিং’ করা হয়েছে।
এদিকে কক্সবাজারে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮ টা থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তবে এটি কোন ভারী কিংবা মুষলধারে বৃষ্টি নয়। খুবই স্বাভাবিক বৃষ্টি। এই বৃষ্টির সাথে ঝড়ো কিংবা দমকা হাওয়াও ছিল না।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস এবং রাডার ষ্টেশন সূত্র জানায়, এই বৃষ্টি ঘূর্ণিঝড় মহাসেনকে প্রভাবিত করতে পারে। একাধারে বৃষ্টি হলে ঘুর্ণিঝড়টি ক্রমশ দুর্বল হয়ে যেতে পারে। গতকাল দুপুর ২ টা পর্যন্ত স্থানীয় আবহাওয়া অফিস ৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টি পাত রেকর্ড করেছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে,  আজ বুধবার নাগাদ ‘মহাসেন’ বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস সুত্র জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়োহাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকট সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার এবং সমদ্র্রগামী জাহাজসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রুহুল আমিন জানিয়েছেন, “ঘুর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবেলায় শুকনো খাবার ও প্রয়োজনীয় খাদ্য মজুদ রাখা হয়েছে।”
সিভিল সার্জন ডাঃ কাজল কান্তি বড়ুয়া জানিয়েছেন, ১১৩ টি জরুরী মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলা কার্যালয়ে একটি কন্ট্রোল এবং সমন্বয় সেল খোলা হয়েছে।
এদিকে প্রাকৃতি দুর্যোগ তথা আল্লাহর গজব থেকে দেশ ও জানমাল রক্ষার জন্য মহান আল্লাহর কাছে বিশেষ মোনাজাত করে আশ্রয় চাওয়ার কথা জানিয়েছেন জেলার বিশিষ্ট আলেমরা।

Exit mobile version