‘মহাসেন’ পরবর্তী দুর্যোগ মোকাবেলায় বান্দরবানে ব্যাপক প্রস্তুতি

Bandarban 2

সেনা বিজেবি, দমকল ও আনসার বাহিনী প্রস্তুত রাখা হয়েছে

জমির উদ্দিন, বান্দরবান:

  ঘূর্ণিঝড় মহাসেন-এর তান্ডব পরবর্তী সম্ভাব্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পর্যালোচনার জন্যে বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সভা কক্ষে এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক কে এম তারিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মাঝে সভায় পুলিশ সুপার কামরুল আহসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নুরুল আবছার, অতিরিক্ত জেলা মেজিষ্ট্রেট ইসরাত জামান, সেনা কর্মকর্তা মেজর মর্তুজা, মেজর মশিউর, সিভিল সার্জন ডা. মং তে ঝ, বোমাং রাজা প্রকৌশলী উ চ প্রু,  জেলা পরিষদের সদস্য কাঞ্চন জয় তংঞ্চংঙ্গ্যা, ভারপ্রাপ্ত মেয়র মং হ্নৈ চিংসহ জেলা বিভিন্ন দপ্তরের সরকারী কর্মকর্তা এবং জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জেলা প্রশাসক জানান, জেলা সদরে একটি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ছাড়াও সংলিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের নেতৃত্বে উপজেলাগুলোতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি বর্তমানে কাজ করছে।
সিভিল সার্জন জানান, দুর্যোগ পরবর্তী প্রয়োজনে ৩৮টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এদের কাছে পর্যাপ্ত ঔষধ খাবার সেলাইন মওজুদ রয়েছে।
এদিকে ভারপ্রাপ্ত মেয়র জানান, দুর্যোগকালে দুর্গতদের জন্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সেনা বাহিনী জানায়, জেলা সদরে তিনটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। দূর্গতদের জন্য প্রয়োজনীয় খাবার, ঔষধ ও বিশুদ্ধ পানির ব্যাবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া সেনা, বিজিবি ও আনসার বাহিনীর ৮টি জোন এবং ৭২টি ক্যাম্প রয়েছে। এই ক্যাম্প গুলোর মাধ্যমে দুর্গম এলাকার জনসাধারনকে উদ্ধার. সাহায্য সহযোগিতা এবং চিকিৎসা সেবা দিতে প্রস্তুত রয়েছে।
যুব রেড ক্রিসেন্টের সাধারন সম্পাদক ইসহাক জানান, একটি মেডিকেল টিম ও ১০০ জন সেচ্ছাসেবক রয়েছে।
জনসাস্থ্য প্রকৌশলীর কর্মকর্তা জানায়, প্রয়োজনীয় পানি সরবরাহ এবং ব্রিচিং পাউডার ও বিশুদ্ধ করন পর্যাপ্ত পরিমান টেবল্যাট রয়েছে।
পুলিশ সুপার জানান, উদ্ধার কাজে পুলিশ সদস্য নিয়োজিত এবং আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তার জোরদার ব্যাবস্থা করা হবে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানাযায়, কক্সবাজার জেলা সংলগ্ন বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ও লামা উপজেলায় নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। কক্সবাজার উপকুল বর্তী নাইক্ষংছড়ির সদর, বাইশারী ও ঘুমধুম ইউনিয়নে নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যাবস্থা। গতকাল বুধবার থেকে লামা উপজেলার ফাইতং এ পাহাড়ের পাদদেশে ঝুকিপূর্ন বসবাসকারী প্রায় ১০০০ পরিবারকে সরিয়ে নিরাপদ স্থানে নেওয়া হচ্ছে। উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে মনিটরিং করা হচ্ছে। উপজেলা ও ইউনিয়নে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি কাজ করছে।
জেলায় ৮টি নিয়ন্ত্রন কক্ষ, ভ্রাম্যমান ও মাট পর্যায়ে ৩৮টি মেডিকেল টিম ও ১০টি এম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং স্থানীয় প্রশাসন ও দূর্যোগ মোকাবেলায় উদ্ধার কাজে সেনা বাহিনী ও বিজিবি, দমকল বাহিনীকে সর্তক অবস্থায় রাখা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন