parbattanews

মহেশখালীতে কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

মহেশখালীতে পাহাড় ভাঙ্গায় জেগে উঠা বালি মহাল ইজারা না হওয়ায় সরকার কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। মহেশখালী দ্বীপে ১৮ হাজার ২৮৬ একর পাহাড় সংরক্ষিত বনাঞ্চল ছিল বর্তমানে প্রকৃতিকভাবে পাহাড় ভেঙ্গে ধসে পড়া, পাহাড় কেটে পানের বরজ তৈরি, অবৈধভাবে জনবসতি স্থাপনের ফলে বেশ কয়েকটি বালু মহাল সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার মধ্যে ৫টি ইউনিয়ন পাহাড় বেষ্টিত। সব ইউনিয়নের প্রাকৃতিক সৃষ্ট বালি মহালগুলো সরকারি ইজারা আওতায় নেওয়া হলে বছরে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আয় হবে বলে সচেতন মহলের অভিমত।

পাহাড় ভাঙ্গার কারণে একদিকে পরিবেশের ভারসাম্য ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে অপর দিকে সৃষ্ট বালি মহালগুলো জনসাধারণের চলাচলে পথে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করছে। হোয়ানক ইউনিয়নের ধলঘাট পাড়া বালু মহাল, রাজুয়ার ঘোনা, হরিয়ার ছড়া, কালারমারছড়ার-চালিয়াতলী, আধার ঘোনা ব্রিজের খাল, চিকনী পাড়াসহ বেশ কয়েকটি স্থানের বালু মহাল স্থানীয় প্রভাবশালীরা দখলে রেখে বালি উত্তোলন করে অবৈধভাবে বিক্রয় করে। মহাল থেকে বালি উত্তোলন করে মহেশখালীর নিচু জায়গা ভরাট ও বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করে থাকে। এসব প্রভাবশালীদের নিকট থেকে বালি মহালগুলো উদ্ধার করে প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ইজারার ব্যবস্থা করা হলে সরকারের রাজস্ব বাড়বে।

জানা যায়, সাম্প্রতিক প্রবল বর্ষণের ফলে পাহাড় থেকে প্রচুর পরিমাণ বালি নেমে চালিয়াতলী, চিকনী পাড়া, আধার ঘোনা ব্রিজের খালসহ বিভিন্ন জায়গায় এ বালু মহালের চর জেগে উঠেছে। উপরোল্লিখিত চরগুলো থেকে প্রভাবশালীরা বালি বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা আয় করে নিজের পকেট ভারী করে, যার ফলে সরকার প্রচুর পরিমাণে রাজস্ব হারাচ্ছে। এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তর মহেশখালী ইনচার্জ জানান, যথা সম্ভব পরিবেশ ভারসাম্য রক্ষার জন্য যা যা প্রয়োজন তা পালন করার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি এরপরেও অনাকাঙ্খিত কিছু ঘটনা ঘটে থাকে।

উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোহাম্মদ ইয়াছিন জানান, পরিবেশ ধ্বংসকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।

Exit mobile version