parbattanews

মহেশখালীতে কোরবানীর গরুর শিঙের গুতোয় নিহত ১ মহিষের আঘাতে আহত ৬

u201

মহেশখালী প্রতিনিধি:

মহেশখালীতে ঈদুল আযহার দিন কোরবানীর গরুর শিং এর গুতোয় ১ যুবক নিহত হয়েছে। ঈদের আগের দিন অপর এক পৃথক ঘটনায় পাগলা মহিষের আঘাতে ৬ জন আহত হয়ছে। নিহত যুবকের নাম জাফর অালম (৪৫)। সে উপজেলার কালারমার ছড়া ইউনিয়নের নোনাছড়ি পশ্চিম পাড়া গ্রামের মৃত নজির অাহমদের পুত্র।

এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, একই গ্রামের হাজী আবুল হাসেমের পুত্র জাকের সিদ্দিকীর কেনা কোরবানীর গরুটি ১৩ সেপ্টেম্বর ঈদুল আযহার দিন সকাল ১১টা দিকে হঠাৎ পালাতে গিয়ে প্রতিবেশী জাফর আলমকে শিং এর গুতো দিয়ে পার্শ্ববর্তী বাঁশঝাড়ে ফেলে দেয়। এসময় সে গড়িয়ে পার্শ্ববর্তী পুকুরে পড়ে যায়। এতে সে মারাত্নক আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নেয়া হলে ওই দিন বিকাল ৫ টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।

অপর দিকে ঈদের আগের দিন বিকালে ধলঘাটার জনৈক ব্যক্তি চকরিয়ার ইলিশিয়া বাজার থেকে কিনে আনা একটি মহিষ ধলঘাটায় বাড়ীতে নিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে শাপলাপুর এলাকায় ২জন, অাঁধার ঘোনা গ্রামে ২জন ও হোয়ানকের হরিয়ার ছড়া এলাকায় ২ জনকে আহত করে। মহিষটি মহেশখালীর বদরখালী ব্রীজ এলাকা থেকে পাগলা রুপ ধারণ করে পুরো ৩টি ইউনিয়ন ঘুরে বিভিন্ন লোকজনকে আহত করায় অবশেষে কালারমার ছড়া পুলিশ ফাঁড়ী থেকে পুলিশের একটি দল গিয়েও মহিষটি আটকানোর জন্য নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। পরে হোয়ানক এলাকার গ্রাম থেকে ২ শতাধিক লোকজন গিয়ে উপকূলীয় চিংড়ী ঘের এলাকা হতে মহিষটিকে আটক করলেও মালিক সেটি তার নিজ এলাকা ধলঘাটায় নিয়ে যেতে পারেনি বলে এলাকাবাসীর জানান।

এঘটনায় হোয়ানক ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল আহতদের চিকিৎসার জন্য মহিষের মালিককে ১০ হাজার টাকা দিয়ে মহিষটি আটকানো এলাকায় জবাই করে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

Exit mobile version