মহেশখালীতে জনতার উপর পুলিশের গুলি, নাটকীয়তার আশ্রয় পুলিশের

মহেশখালী প্রতিনিধি:

মহেশখালী উপজেলার কালামার ছড়ায় সিএনজি ড্রাইভারকে আটকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট ঘটনায় পুলিশের গুলিতে আট জন আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

স্থানীয় চেয়ারম্যান তারেকের বড় ভাই এডভোকেট নোমান শরীফ জানান ১৩ অক্টোবর জুম্মার নামাজের পর তারেক ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারে অবস্থানকালে উপজেলা চেয়ারম্যান হোসাইন ইব্রাহীম এর উপস্থিতে এলাকার লোকজন তাদের সাথে দেখা করতে আসে। হঠাৎ এস আই রাজু তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে এসে সবাইকে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে চলে যায়।

এক পর্যায়ে তারেক চেয়ারম্যান দাওয়াতের উদ্দেশ্যে রওনা হয় বিকাল ৫টার দিকে পুনরায় এসআই রাজু ডিজিটাল সেন্টারে এসে ভাংচুর চালায় এবং এক জন সিএনজি ড্রাইভারকে  আটক করে নিয়ে যায়, খবর পেয়ে তারেক এসআই রাজুর সাথে দেখা করে ভাংচুর ও আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে এসআই রাজুর নির্দেশে পুলিশ গুলি ছুড়লে ঘটনাস্থলে আট জন গুলি বিদ্ধ হয়। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আহতদের পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।

কালারমার ছড়ার ঘটনার বিষয়ে প্রাথমিক ভাবে পুলিশের বক্তব্য এঘটনায় পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছে ও পুলিশের গুলি ভর্তি ম্যাগজিন ছিনতাই করা হয়েছে বলে পুলিশের দায়িত্বশীল সূত্রের দাবি।

ওসি প্রদীপ কুমার দাশ  টেলিফোনে ঘটনার বিষয়ে পুলিশের অবস্থান তুলে ধরেন।

তিনি বলেন গত ৩-৪ দিন ধরে কালারমার ছড়া ও বদরখালী কেন্দ্রিক দু’টি বিবাদমান পরিবহণ সমিতির মধ্য পরিবহণ সংশ্লিষ্ট ইস্যুতে বিরোধ চলে আসছিল। সম্প্রতি এনিয়ে ফৌজদারী অপরাধজনক ঘটনা সৃষ্টি হলে মহেশখালী থানায় একটি মামলা হয়। আজ মামলার এক আসামিকে পুলিশ গ্রেফতার করলে আসামি ছিনিয়ে নিতে পুলিশের উপর হামলা হয়। গুরুতর আহত করা হয় পুলিশকে। পুলিশের অস্ত্র ছিনতাই এর চেষ্টা চালানো হয়। এসময় গুলিভর্তি পিস্তলের ম্যাগজিন ছিনতাই করা হয় বলে ওসি জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন