parbattanews

মহেশখালীতে মাদ্রাসায় ঢুকে শিক্ষক দম্পতিকে কুপিয়ে জখম, ঘটনাস্থলে সুপার নিহত

কক্সবাজারের মহেশখালীতে মাদ্রাসায় ঢুকে শিক্ষক দম্পতিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে৷ এতে ঘটনাস্থলে মারা যান তাজিয়াকাটা সোমাইয়া দাখিল মাদ্রাসার এবতাদিয়া শাখার সুপার মৌলভী জিয়াউর রহমান। তিনি স্থানীয় শাহাব মিয়ার ছেলে। অন্যদিকে মারাত্মক আহত অবস্থায় তার স্ত্রী সহকারী শিক্ষিকা রহিমা বেগমকে হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা যায়।

বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) বেলা ১২টায় উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের তাজিয়াকাটা সোমাইয়া দাখিল মাদ্রাসার ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সত্যাতা নিশ্চিত করে মহেশখালী থানার তদন্ত ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে আছি। বিস্তারিত পরে জানাবেন বলে জানান।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে কুতুবজোম ইউনিয়নের তাজিয়াকাটার মাআদ্দুসসুব্বরো গোষ্ঠী ও লালাব্বরো গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে তাজিয়াকাটা মোহাম্মদীয়া স্বতন্ত্র এবতাদিয়া মাদ্রাসার এমপিওভুক্তি, কমিটি ও জমিদাতাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। গত ৩ মাস আগে ও এ নিয়ে তাদের মধ্যেই মারামারির ঘটনা ঘটেছিল। উক্ত ঘটনার রেষধরেই লালাব্বরো গোষ্ঠীর আনছার, মোস্তক বাবুলসহ কয়েকজন পুরুষ ও মহিলা মাদ্রাসা ক্যাম্পাসে এসে শিক্ষক-দম্পতিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে চলে যায়। তাদেরকে উদ্ধার করে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে মৌলভী জিয়াউর রহমানকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত ডাক্তার। আর গুরুতর হওয়ায় তার স্ত্রীকে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহ আলম বাদশা জানান, একটি মাদ্রাসার বিরোধ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যেই দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনায় রেষ ধরে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।

নিহতের ভাই মো. মান্নান জানান, লালাব্বরো গোষ্ঠীর আনছার, মোস্তক বাবুলসহ কয়েকজন পুরুষ ও মহিলা এসে দা-কিরিচ নিয়ে আমার ভাইকে হত্যা করে এবং আমার ভাবিকে মারাত্মকভাবে জখম করে। তিনিও মুমূর্ষু অবস্থায় রয়েছেন। আমি উক্ত ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি।

এবিষয়ে মহেশখালী থানার ওসি প্রনব চৌধুরী বলেন, কুতুবজোমে শিক্ষককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করতে পুলিশ কাজ করতেছে। অন্যদিকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

Exit mobile version