parbattanews

মহেশখালীতে লাইনম্যানের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে জবাই করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ

pic-1 (1) copy

মহেশখালী প্রতিনিধি:

মহেশখালীতে পল্লী বিদ্যুৎ এর লাইনম্যান কতৃক পরকিয়ায় বাধা দেওয়ায় ১ম স্ত্রীকে জবাই করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টায় ঘটেছে মহেশখালী পৌরসভার বড় রাখাইন পাড়া গ্রামে।

জানা যায়, পিরোজপুর জেলার নাজমাপুর গ্রামের বাসিন্দা মহেশখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লাইনম্যান জহিরুল হক খাঁনে সহিত ১৯৯৭ সালের ১১ মার্চ বিবাহ হয় কক্সবাজার কালুর দোকান এলাকার হোসনে আরা খানমের। তাদের বর্তমানে এক মেয়ে এইচএসসিতে এবং এক ছেলে ৮ম শ্রেণিতে পড়ে।

জহির উখিয়া উপজেলায় চাকুরীকালিন সময়ে মিটার সংযোগ দিতে গিয়ে পরিচয় হয় ঐ উপজেলার রাজাপালং ইউনয়নের তাতুবালা বডুয়ার পুত্র সুদত্ত বডুয়ার স্ত্রী সুপর্না চৌধুরীর সাথে। তার সাথে পরকিয়া আসক্ত হলে সুদত্ত বডুয়ার সংসারের ৩ সন্তানকে রেখে সুর্পনা চেীধুরী নোটারী পাবলিকের মাধ্যম ডিভোর্স প্রদান করে ২০১৪ সালের ৯ এপ্রিল। এর পর এফিডেভিটের মাধ্যমে ১০৩৬ নং নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ১৯ এপ্রিল ১৪ইং লাইনম্যান জহিরকে বিয়ে করে সুর্পনা।

তাদের বিবাহের কিছুদিন পর সুর্পনা ০৭ আগস্ট ১৪ সালে জহিরুল হক খাঁনকে ১০১৯ নং এভিডেভিট মূলে ডিভোর্স প্রদান করে। কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি জহির কে উখিয়া থেকে মহেশখালী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে বদলী করলে সে ই থেকে ১ম স্ত্রীর সংসারে ভালই চলছিল। কিছুদিন পর ডিভোর্সকৃত সুপর্না মহেশখালীর বড় রাখাইন পাড়ায় একটি বাসায় অবস্থান করে। এ সুযোগে সেই জহির আবার পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ে।

গত কয়েক দিন থেকে ১ম স্ত্রীর ও পুত্র সন্তানদের সাথে যোগাযোগ বিছিন্ন করে দেওয়ায় ১ম স্ত্রী হোসনে আরা স্বামী জহিরুল হক খাঁনকে ১৭ জুন মহেশখালী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে খুজতে গিয়ে রাখাইন পাড়ার একটি বাসায় সুপর্না ও জহিরকে সাথে পেয়ে ১ম স্ত্রী প্রতিবাদ করায় তাকে বাসায় ডুকে হাত পাঁ বেধে হাতুড়ি দিয়ে শরীরে বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে। এক পর্যায়ে ধারালো দা দিয়ে জবাই কারার চেষ্টা করলে হোসনে আরার আত্মচিৎকারে পাশের বাসার লোকজন এসে তাকে মহেশখালী হাসপাতালে ভর্তি করায়।

এ ব্যাপারে মহেশখালী পল্লী বিদ্যুৎ-এর ডিজিএম আবুল বাশার মো. সামসু উদ্দিন ঘটনার সত্যতা শিকার করে হাসপাতালে তাকে দেখতে সমিতি টিম পাঠায়। এ ব্যাপারে মহেশখালী থানার ওসি বাবুল চন্দ্র বনিক জানান, বিষয়টি শুনেছি পুলিশ পাটিয়েছি ঘটনার তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Exit mobile version