parbattanews

মহেশখালীতে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

মহেশখালীতে পিতামাতাহীন এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অবিযো উঠেছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টায় উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের জেমঘাট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। মহেশখালী থানায় দায়ের কৃত এজাহার সুত্রে জানা যায়, শাপলাপুর ইউনিয়নের জেমঘাট এলাকার সালেহ আহমদের বখাটে পুত্র মফিজ উদ্দিন গত ১০/১৫ দিন ধরে জেমঘাট হাই স্কুলের ৯ম শ্রেনীর মানবিক শাখার (নাম সংগত কারনে  গোপন রাখা হলো) এক (১৫) ছাত্রীকে উত্যাক্ত করে আসছিলো।

ঘটনার দিন ওই ছাত্রী তার মামার বাড়িতে যায়, এই সুযোগে বখাটে মফিজ রাত সাড়ে ৭টায় মেয়ের মামার বাড়িতে প্রবেশ করে মাতাপিতাহীন এতিম ছাত্রীকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর পর বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে মেয়ের মামা ও নানা অভিযুক্ত ছেলের ভাই বদি আলম ও তার পিতামাতাকে অবহিত করার পর স্থানীয় এইপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের জানানোর ৩ দিনেও কোন ধরনের সুরাহা করতে রাজি হয়নি বখাটে মফিজের পরিবার।

মেয়ের মামা মোজাম্মেল হক জানান, ঘটনার দিন আমি ও আমার স্ত্রী আমার বাপের বাড়িতে বেড়াতে আসি ফলে আমার বাড়িতে আমার ভাগনীকে রাত্রে থাকার জন্য বলেছিলাম এই সুযোগে লম্পট মফিজ এই সর্বনাস করেছে। এই ঘটনায় আমি মহেশখালী থানায় এজাহার দায়ের করেছি।

জেমঘাট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক নুর মোহাম্মদ জানান, ছাত্রীটি আমার স্কুলের নিয়মিত স্টুডেন্ট ,একটি এতিম ছাত্রীর উপর এহেন অমানবিক নির্যাতন আমরা কিছুতে মেনে নেবোনা, ধর্ষকের কঠিন শান্তি দাবী করছি।

এদিকে এ ঘটনায় পুরো শাপলাপৃুর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়দের দাবী পিতামাতাহীন একটি এতিম মেয়েকে এভাবে নির্যাতন আমরা কোন ভাবে মেনে নিবোনা। দ্রুত ওই ছেলের কঠিন বিচার করা হোক।

মহেশখালী থানার তদন্ত ওসি সফিকুল আলম চৌধুরী জানান, এই ঘটনার বিষয়ে লিখিত এজাহার পেয়েছি, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Exit mobile version