বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী শুক্রবার দুপুরে (৮অক্টোবর) মহেশখালীর উপদ্বীপ ধলঘাটা অর্থনৈতিক অঞ্চলের চলমান প্রকল্প পরিদর্শন করেন। মহেশখালী এই উপদ্বীপে এস পি এল পেট্রোক্লাসিকেল কমপ্লেক্স লি: ঢাকা বাংলাদেশ এর অর্থয়ানে অর্থনৈতিক অঞ্চল ৩ এর কাজ শুরু হয়েছে ১৯ সালের জানুয়ারি থেকে।
শুক্রবার এক ঝটিকা সফরে উক্ত প্রকল্প পরির্দশনে আসেন বেজার চেয়ারম্যান সহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তরা। মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ জামিরুল ইসলাম সহ টিকে গ্রুপের ডিরেক্টর মোস্তাফিজুর রহমান ও ধলঘাটা ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল হাসান সহ বেশ কিছু স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিনিধিরা ধলঘাটায় হতে যাওয়া অর্থনৈতিক অঞ্চল -৩ উন্নয়ন কর্মকাণ্ড গুলো ঘুরে ঘুরে দেখেন পরে উক্ত প্রকল্পের বাঁধের উপর ঝাউ গাছের চারা গাছ দিয়ে বৃক্ষ রোপন অভিযানের যাত্রা শুরু করেন তারা।
এসময় প্রকল্প অফিসে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রবন চৌধুরী বলেন, অধিগ্রহণ ভুক্ত উপকারভোগিদের ক্ষতিপূরনের টাকা যাতে তাড়াতাড়ি তুলতে পারে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। স্থানীয় দক্ষ অদক্ষ শ্রমিক সহ নানান পেশাজীবীদের কর্ম সংস্থান ও ব্যবসা বাণিজ্যের সুযোগ প্রদান করা হবে। একটি আন্তর্জাতিক ট্যেকনিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠার কথা ও জোরালো ভাবে করার কথা উঠে এসেছে সভায়। উচ্ছেদকৃত ১৭ টি পরিবারকে চাকুরী সহ নানাবিদ সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হবে।
ধলঘাটার ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল হাসান জানান, আমরা দ্রুত একটি আধুনিক নগরিতে পরিনত হবো, প্রকল্পের কারণে উচ্ছেদ পরিবার গুলিকে ইতিপূর্বে কিছু নগদ অর্থ দেয়া হয়েছে পর্যায়ক্রমে তাদের প্রতিটি দাবি পূরণ করা হবে বলে বেজার চেয়ারম্যান আমাদের জানিয়েছেন। সভার সভাপতি ইউএনও জামিরুল ইসলাম বলেন, ধলঘাটার মাটিতেই উচ্ছেদকৃতদের পুনর্বাসন করা হবে ।
জানা গেছে, প্রকল্প কর্তৃপক্ষ সাপমারারডেইল জেটি ঘাটের রিপিয়ারিং কাজ আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে শুরু করার কথা রয়েছে। তাছাড়া বেজা চেয়ারম্যান নিজেই ঘোষণা করেছেন, ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দের যে নতুন জেটি ঘাট নির্মানের সিদ্ধান্ত ইতিপূর্বে নেওয়া হয়েছিলো সেটি যাতে দ্রত নির্মিত হয় সে ব্যাপারে সবধরনের সহযোগিতা করবেন। তিনি আর ও আশ্বস্ত করেন, ক্রমান্বয়ে ধলঘাটাবাসীকে বিবিধ ভাবে সুযোগ সুবিধা প্রদান করে ধলঘাটাকে একটি উন্নত নগারায়নে পরিনত করবেন।