মহেশখালীর পান বাজার বন্ধ ঘোষণা, পান বিক্রি করবে উপজেলা প্রশাসন
মহেশখালীতে একদিনে ৫ করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ায় ভাবিয়ে তুলেছে সবাইকে। করোনা সংক্রমণ রোধে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে মহেশখালীর সব পান বাজার।
তবে উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে পান বিক্রি অব্যাহত রেখে চাষিদের টাকা বুঝিয়ে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। স্থানীয়ভাবে খুবই প্রশংসিত হয়েছে উপজেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগ।
শনিবার (২৫ এপ্রিল) মহেশখালী উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত করোনা সংক্রমণ রোধ সংক্রান্ত এক সভায় এই উদ্যোগ নেয়া হয়। মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জামিরুল ইসলমাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সভায় সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিকসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২৩ এপ্রিল একদিনে মহেশখালীতে ৫ করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ায় আরো করোনা সংক্রমণ বিষয়ে ভাবিয়ে তুলেছে সবাইকে।
আক্রান্তদের হিস্ট্রি মতে, মহেশখালীতে করোনা সংক্রমণের প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে বাইরে যাতায়াত করা পান ব্যবসায়ীরা।
তারা বাইর থেকে এসে আবারো বাজারে গিয়ে পান কিনতে বহু মানুষের সংস্পর্শে আসে। করোনা সংক্রমণ আরো ছড়ানোর প্রধান উপলক্ষ হিসেবে পানবাজারকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাই উপজেলা প্রশাসন মহেশখালীর সব পানবাজার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার সিন্ধান্ত নিয়েছেন।
অন্যদিকে পান পচনশীল পণ্য হওয়ায় পান বিক্রি বন্ধ রাখা যাবে না। তাই বাজার বন্ধ থাকলেও পান বিক্রির বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। এই ব্যবস্থাটি হলো, প্রশাসনই সরাসরি পান বিক্রি করে চাষিদের টাকা দেবে।
সিদ্ধান্ত মতে পানচাষীর তালিকা তৈরি করে প্রশাসন পান সংগ্রহ করবে। সংগৃহিত পানগুলো সম্পূর্ণ প্রশাসনের উদ্যোগে বিক্রি করা হবে। চট্টগ্রামসহ দেশের অন্যান্য এলাকার পানের আড়তগুলো এবং ব্যবসায়ীদের সাথে সরাসরি এবং অনলাইনে যোগাযোগ করে নিরাপদ ব্যবস্থায় এসব পান রপ্তানি করা হবে।