parbattanews

মহেশখালীর বালুচরে শুটকি তৈরী

মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের সোনাদিয়া দ্বীপের বালুচরে শুটকি উৎপাদনের ধুম পড়েছে। দেশের জীব বৈচিত্র্য সমৃদ্ধ একটি অনন্য সুন্দর দ্বীপ মহেশখালী। দ্বীপটির আয়তন ৯ বর্গকিলোমিটার। তিন মাস ধরে এখানে স্থানিয় ব্যবসায়ী ও জেলে সম্প্রদায়ের লোকজন মাছ শুকাচ্ছেন। সোনাদিয়া বালুচরে শতাধিক শুটকি মহলে উৎপাদন হচ্ছে শুটকি।

মহালগুললো থেকে ব্যবসায়ীরা শুটকি সরবরাহ করছেন কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়।

সোমবার (৩ ফ্রেব্রুয়ারি) সকাল ১০ টায় সোনাদিয়া গ্রামে দেখা যায় বালুচরে গড়ে উঠেছে সারি সারি শুটকি মহাল।

মহালের শ্রমিকেরা বাঁশের মাচা বানিয়ে তাতে রুপচাঁদা, লইট্টা, ছুরি, চিংড়ি, ফাইস্যা, লাক্ষাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ রাখছেন শুকনোর জন্য।

শুকনো মাছ বাছাই করে এক পাশে রাখছেন কিছু শ্রমিক।আশেপাশে সব শুটকি মহালেই শ্রমিকদের ব্যস্ততার এই চিত্র দেখা যায়। এছাড়াও প্রতিদিন দুরদুরান্ত থেকে আগত ব্যবসায়ীরা শুটকি ক্রয় করতে সোনাদিয়া দ্বীপে ভীড় করা চিত্র ও দেখা মিলে।

শুটকি মহালের শ্রমিকরা জানিয়েছেন, এখানকার রুপচাঁদা, ছুরি ও লইট্টা শুটকির কদর সারাদেশে প্রসিদ্ধ স্থান দখল করে রয়েছে। রুপচাঁদা প্রতি কেজি দেড় থেকে আড়াই হাজার, ছুরি ১ হাজার থেকে দেড় হাজার, লইট্টা ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

স্থানিয় কুতুবজোম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন খোকন বলেন, উন্নতমানের শুটকি উৎপাদিত হয় সোনাদিয়া। এখানকার শুটকিতে কোনে প্রকার বিষ মেশানো হয়না। এই কারণে এই চরে উৎপাদিত শুটকির চাহিদা রয়েছে অনেক বেশি। তবে এই শুটকি তৈরীতে শিশুদের ব্যবহার করে থাকে শুটকি মহলের মালিকগণ।

Exit mobile version