সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে মহেশখালী দ্বীপে কঠোর হচ্ছে নৌবাহিনী

fec-image

করোনায় আতঙ্কিত পুরো বিশ্ব। যেখানে বাদ পড়েনি চিকিৎসকও। কিছুদিন থেকে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। সেই ক্ষেত্রে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে মহেশখালী দ্বীপের সাড়ে ৪ লাখ মানুষ কে সরকারি আইন মেনে চলতে কঠোর হচ্ছে নৌবাহিনী।

শনিবার (২৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার সময় মহেশখালীর প্রধান সড়কে নৌ-বাহিনীর টহল জোরদার দেখা গিয়ছে। এমনি কি প্রতিটি স্টেশন এবং দোকানের সামনে জনসমাগম হয়ে থাকে সেই সব জায়গায় হ্যান্ড মাইকিং করে তাদেরকে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে এবং দুরুত্ব বজায়সহ নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাহিরে না আসার ঘোষণা করেন।

এছাড়া প্রতিটি স্টেশনেও এ সংক্রশণ প্রতিরোধে সাধারণকে সতর্কবাতা দিয়ে ডিউটিরত পুলিশের ভূমিকা ছিলো চোখে পরার মতো। মানুষের মধ্যে জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি তাদের বুঝিয়ে ঘরে ফেরাতে ব্যস্ত ছিলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

তারা এই মহামারি সংক্রমণ থেকে নিজ এবং নিজের পরিবারকে বাঁচাতে বাড়িতে চলে যেতে উদ্ভুদ্ধ করে। এ সময় সড়কে চলাচলরত ছোটখাটো যানবাহনেও তল্লাশি চালিয়ে ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহারের নির্দেশ দেন।

করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সব সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। এসব দিনে জরুরি প্রয়োজন (খাদ্যদ্রব্য, ওষুধ কেনা, চিকিৎসা, মৃতদেহ সৎকার) ছাড়া কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে না যেতে জনসাধারণকে বিভিন্ন মাধ্যমে সতর্ক করা হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজার জেলার অন্যান্য উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত হলেও মহেশখালীতে হয়নি। তারপরও সতর্কতায় হোম কোয়ারেন্টাইন এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোয়ারেন্টাইনে পূর্বে বেশি থাকলেও বর্তমানে ৬০ জন মতো লোক রয়েছে।

মহেশখালী থানার ওসি(তদন্ত) বাবুল আজাদ বলেন, এ মহামারির সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে উপজেলার ৬টি পয়েন্টে পুলিশি টিম ডিউটিতে রয়েছে। পুলিশ সদস্যরা জনসাধরণকে করোনা প্রতিরোধে জনসমাগম, প্রয়োজন ছাড়া ঘরে বাইরে না আসা এবং দৈনিক কয়েকবার সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে উৎসাহিতকরণ ও নিরলসভাবে প্রচারণাসহ সর্বোচ্চ আন্তরিকতা সাথে দায়িত্ব পালন করছে।

নৌ-বাহিনীর ল্যাপ্টেন কমান্ডার আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে কয়েকটি গাড়িসহকারে একটি টিম সংক্রমণ থেকে নিজসহ সবাইকে সুরক্ষা পেতে প্রশাসনের পাশাপাশি সচেতন মহলদেরও স্ব স্ব অবস্থান থেকে জনসচেতনতায় কাজ করতে হ্যান্ড মাইকিং করেন।

এ বিষয়ে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জামিরুল ইসলাম জানান, করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারি থেকে সুরক্ষা পেতে কোন মানুষ নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাহির না হওয়া এবং জনসমাগম নিয়ন্ত্রিত রাখতে নৌ-বাহিনী, পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ব্যাপক সতর্কতামূলক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।

সাথে প্রত্যন্তাঞ্চলের ব্যবসায়ীদের দ্রব্যাদির মূল্য বৃদ্ধি না করাও নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সাথে দরিদ্রদের সহায়তা করতে উপজেলা প্রশাসন মাঠে রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস, পুলিশ, মহেশখালী
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন