parbattanews

মাইক্রোবাসে গারো তরুণী গণধর্ষণ: চালকসহ ২ জন গ্রেফতার

আটক
নিউজ ডেস্ক:
রাজধানীতে মাইক্রোবাসে গারো তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক তুষার ও গাড়িচালক লাভলুকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

মঙ্গলবার রাতে র‌্যাবের একটি দল তাদেরকে ঢাকা ও কুয়াকাটা থেকে গ্রেফতার করে বলে জানা গেছে।

বুধবার সকালে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার উপ-পরিচালক রুম্মান মাহমুদ সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি।

গারো তরুণীকে গাড়িতে তুলে নির্যাতন চালানোর সময় যে একটি ফোন কল আসে তার সূত্র ধরেই র‌্যাবের গোয়েন্দারা তাদের গ্রেপ্তার করে।

তিনি বলেন, দুপুর ১২টায় র‌্যাব সদর দপ্তরে ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

জানা যায়, তরুণীকে মাইক্রোবাসে ধর্ষণের সময় একটি ফোন আসে। ‘তুষার’ সম্বোধন করে মাইক্রোবাসের ড্রাইভার সেই ফোনটি এগিয়ে দেয়। গারো তরুণী পুলিশের কাছে সেই নামটি প্রকাশ করে।

সূত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতের যে কোনো সময় তুষারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার থেকেই সে র‌্যাবের গোয়েন্দাদের নজরদারির মধ্যে ছিল। বর্বর ওই ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

তুষার একটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানের মাইক্রোবাস চালক। ওই তরুণীও গণধর্ষণের শিকার হন মাইক্রোবাসের মধ্যেই।

বৃহস্পতিবার রাতে কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা থেকে অস্ত্রের মুখে ওই গারো তরুণীকে মাইক্রোবাসে উঠিয়ে পাঁচ যুবক ধর্ষণ করে উত্তরার জসিম উদ্দিন রোডে ফেলে যায়। এই ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে ওই তরুণী বাদী হয়ে পাঁচ যুবকের বিরুদ্ধে ভাটারা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ২৬।

ধর্ষণের শিকার মেয়েটি যমুনা ফিউচার মার্কেটে একটি পোশাকের দোকানে সেলসম্যান হিসেব কাজ করে। ধর্ষণের ঘটনা ঘটার আগের রোববার তুষার ওই দোকানে গিয়েছিল দুইজন বিদেশি নিয়ে। কেনাকাটার এক পর্যায়ে তুষারের সঙ্গে মেয়েটির পরিচয় হয়। মেয়েটি কোথায় থাকে কত টাকা বেতন পায়, সেই টাকায় তার চলে কিনা- নানা বিষয়ে তথ্য নেয় তুষার।

ধর্ষকদের মধ্যে তুষারও ছিল বলে মেয়েটি পুলিশকে জানিয়েছে।

মামলার পর শনিবার ওই তরুণীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে পরীক্ষা শেষে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, প্রাথমিক পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। সাত দিন পর চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়া হবে।

Exit mobile version