parbattanews

মাইন বিস্ফোরণের ঘটনায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে ঘুমধুম সীমান্তে

ছবি: সীমান্তে বিজিবির টহল দল

পার্বত্য বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তে মর্টার শেল বিস্ফোরণে নিহত রোহিঙ্গা যুবকের লাশ দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

এ বিস্ফোরণে আহত হয় আরো কয়েকজন। ফলে শনিবার দিনভর ঘুমধুমের তুমব্রু এলাকায় পরিস্থিতি থমথমে অবস্থা বিরাজ করে। তবে সীমান্তের ওপারে এখনো গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে বলে নিশ্চিত করেন স্থানীয় বাসিন্দরা।

শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মর্টার শেলটি নিষ্কৃিয় করা হয়েছে এবং রাতে নিরাপদে আশ্রয় নেওয়া ২ গ্রামের জনগণ ফিরে এসেছে নিজ ঘরে। বিশেষ করে সীমান্ত থেকে নিরাপদে পরীক্ষা দিতে পারায় পরীক্ষার্থীরা খুশি।

শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টায় বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াসিন পারভেজ তিরমিজি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন পরীক্ষার্থীরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এই কারণে তাদের পরীক্ষা ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়।

ঘুমধুমের তুমরু বাজারে কথা হয় স্থানীয় গ্রাম পুলিশ আবদুল জাব্বার ও ব্যবসায়ী বদিউল আলমের সাথে। তারা জানান, শুক্রবার রাতে মিয়ানমারের মর্টার শেলের আঘাতে নিহতের পরিবার শোকে কাতর। মৃত ইকবাল উদ্দিন ঘটনার সময় শূন্যরেখায় আশ্রিত রোহিঙ্গা ক্যম্পের ১০নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থান করছিলো পাশের একটি অস্থায়ী দোকান ঘরে। ঠিক সে সময় রাত সাড়ে ৮টার দিকে পরপর ২টি মর্টার শেল এসে পড়ে কোনার পাড়ায়। এর ১টি নাফ নদীতে তথা শূন্যরেখায় থাকা কোনার পাড়াস্থ তুমরু খালের পাড়ে পড়ে বিস্ফোরিত হয়। যা ১০নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ছিটকে পড়লে ঘটনাস্থলে নিহত হন ইকবাল। এ ঘটনায় আহত হন আরো ৭ জন। নিহত ইকবালকে শনিবার সকালে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দায়িত্বরত এমএসএফ হাসপাতাল থেকে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

তারা আরো বলেন, শনিবার রাতে গোলার আঘাতে হতাহতের পর ঘুমধুমের কোনার পাড়া ও মাঝের পাড়ার ২ গ্রামের ৬০টি পরিবার রাত ১২টার দিকে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছিলো। আর হেডম্যান পাড়ার নারীদের সরিয়ে রাখা হয় বিপদমুক্তির জন্যে। এভাবে ৩ গ্রামের অধিকাংশই শনিবার সকালে পরিস্থিতি শান্ত হওয়ায় তারা নিজনিজ বাড়িতে ঘরে এসেছে।

তুমব্রু সীমান্ত থেকে পরীক্ষায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থী বেশ কয়েকজন শিক্ষাথীরা জানান, সীমান্তে উত্তপ্ত পরিস্থিতে কেন্দ্র পরিবর্তন করে সুষ্টভাবে পরীক্ষা দিতে পারায় তারা খু্বই খুশি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা ফেরদৌস ও ছাত্রনেতা সাদ্দাম পরাীক্ষার্থীদের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করার সাধুবাদ জানান।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সালমা ফেরদৌস বলেন, সীমান্তের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ঘুমধুম থেকে ৫ কিলোমিটার নিরাপদে কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ে ব্যবস্থা করা হয়। বর্তমানে সীমান্ত পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক।

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার দিল মোহাম্মদ বলেন, অবিস্ফোরিত গোলাটি সেনাবাহিনীর একটি বিশেষজ্ঞ দল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। আর এলাকার থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। কিন্ত কোনার পাড়া ও মধ্যম পাড়া থেকে নিরাপদে আশ্রয় নেয়া লোকজন সকালে নিজ বাড়িতে ফিরে এসেছে।

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির আজিজ বলেন, মিয়ানমার বাহিনী কি চায় তিনি বুঝতে পারছেন না। তবে বিজিবি সবধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত আছে। তাদেের টহল বাড়ানো হয়েছে।

এদিকে নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেসক্লবের সাবেক ক্রীড়া ও পাঠাগার সম্পাদক মো. আবদুর রশিদসহ একাধিক সাংবাদিক জানান, তাদেরকে ঘুমধুম ও তুমব্রুতে দায়িত্ব পালনে বাঁধা দেয়া হচ্ছে। অথচ এখানে স্থানীয় ও বাইরের হাজারো মানুষের সমাগম রয়েছে।

তারা আরো জানান, ঘুমধুম সীমান্তে টহলরত বিজিবি সদস্যরা তুমুব্রু বাজার, তুমরু গ্রাম, বাইশফাঁড়ি, কোনার পাড়া, মধ্যমপাড়া, হেড়ম্যানপাড়া, ইউনিয়ন পরিষদ ও উত্তর পাড়াসহ ঘুমধুমে সাংবাদিক প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। যাতে অনেকে বিড়ম্বনার শিকারে পড়েন।

এ প্রসঙ্গে বিজিবি সদস্যরা জানান, তারা উপরের নির্দেশে এসব করছেন।

পার্বত্য বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তে মর্টার শেল বিস্ফোরণে নিহত রোহিঙ্গা যুবকের লাশ দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

এ বিস্ফোরণে আহত হয় আরো কয়েকজন। ফলে শনিবার দিনভর ঘুমধুমের তুমব্রু এলাকায় পরিস্থিতি থমথমে অবস্থা বিরাজ করে।

তবে সীমান্তের ওপারে এখনো গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে বলে নিশ্চিত করেন স্থানীয় বাসিন্দরা।

শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মর্টার শেলটি নিষ্কৃিয় করা হয়েছে এবং রাতে নিরাপদে আশ্রয় নেওয়া ২ গ্রামের জনগণ ফিরে এসেছে নিজ ঘরে। বিশেষ করে সীমান্ত থেকে নিরাপদে পরীক্ষা দিতে পারায় পরীক্ষার্থীরা খুশি।

শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টায় বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াসিন পারভেজ তিরমিজি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন পরীক্ষার্থীরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এই কারণে তাদের পরীক্ষা ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়।

ঘুমধুমের তুমরু বাজারে কথা হয় স্থানীয় গ্রাম পুলিশ আবদুল জাব্বার ও ব্যবসায়ী বদিউল আলমের সাথে। তারা জানান, শুক্রবার রাতে মিয়ানমারের মর্টার শেলের আঘাতে নিহতের পরিবার শোকে কাতর। মৃত ইকবাল উদ্দিন ঘটনার সময় শূন্যরেখায় আশ্রিত রোহিঙ্গা ক্যম্পের ১০নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থান করছিলো পাশের একটি অস্থায়ী দোকান ঘরে। ঠিক সে সময় রাত সাড়ে ৮টার দিকে পরপর ২টি মর্টার শেল এসে পড়ে কোনার পাড়ায়। এর ১টি নাফ নদীতে তথা শূন্যরেখায় থাকা কোনার পাড়াস্থ তুমরু খালের পাড়ে পড়ে বিস্ফোরিত হয়। যা ১০নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ছিটকে পড়লে ঘটনাস্থলে নিহত হন ইকবাল। এ ঘটনায় আহত হন আরো ৭ জন। নিহত ইকবালকে শনিবার সকালে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দায়িত্বরত এমএসএফ হাসপাতাল থেকে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

তারা আরো বলেন, শনিবার রাতে গোলার আঘাতে হতাহতের পর ঘুমধুমের কোনার পাড়া ও মাঝের পাড়ার ২ গ্রামের ৬০টি পরিবার রাত ১২টার দিকে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছিলো। আর হেডম্যান পাড়ার নারীদের সরিয়ে রাখা হয় বিপদমুক্তির জন্যে। এভাবে ৩ গ্রামের অধিকাংশই শনিবার সকালে পরিস্থিতি শান্ত হওয়ায় তারা নিজনিজ বাড়িতে ঘরে এসেছে।

তুমব্রু সীমান্ত থেকে পরীক্ষায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থী বেশ কয়েকজন শিক্ষাথীরা জানান, সীমান্তে উত্তপ্ত পরিস্থিতে কেন্দ্র পরিবর্তন করে সুষ্টভাবে পরীক্ষা দিতে পারায় তারা খু্বই খুশি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা ফেরদৌস ও ছাত্রনেতা সাদ্দাম পরাীক্ষার্থীদের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করার সাধুবাদ জানান।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সালমা ফেরদৌস বলেন, সীমান্তের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ঘুমধুম থেকে ৫ কিলোমিটার নিরাপদে কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ে ব্যবস্থা করা হয়। বর্তমানে সীমান্ত পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক।

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার দিল মোহাম্মদ বলেন, অবিস্ফোরিত গোলাটি সেনাবাহিনীর একটি বিশেষজ্ঞ দল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। আর এলাকার থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। কিন্ত কোনার পাড়া ও মধ্যম পাড়া থেকে নিরাপদে আশ্রয় নেয়া লোকজন সকালে নিজ বাড়িতে ফিরে এসেছে।

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির আজিজ বলেন, মিয়ানমার বাহিনী কি চায় তিনি বুঝতে পারছেন না। তবে বিজিবি সবধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত আছে। তাদেের টহল বাড়ানো হয়েছে।

এদিকে নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেসক্লবের সাবেক ক্রীড়া ও পাঠাগার সম্পাদক মো. আবদুর রশিদসহ একাধিক সাংবাদিক জানান, তাদেরকে ঘুমধুম ও তুমব্রুতে দায়িত্ব পালনে বাঁধা দেয়া হচ্ছে। অথচ এখানে স্থানীয় ও বাইরের হাজারো মানুষের সমাগম রয়েছে।

তারা আরো জানান, ঘুমধুম সীমান্তে টহলরত বিজিবি সদস্যরা তুমুব্রু বাজার, তুমরু গ্রাম, বাইশফাঁড়ি, কোনার পাড়া, মধ্যমপাড়া, হেড়ম্যানপাড়া, ইউনিয়ন পরিষদ ও উত্তর পাড়াসহ ঘুমধুমে সাংবাদিক প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। যাতে অনেকে বিড়ম্বনার শিকারে পড়েন।

এ প্রসঙ্গে বিজিবি সদস্যরা জানান, তারা উপরের নির্দেশে এসব করছেন।

Exit mobile version