parbattanews

চকরিয়ায় রাতের আধারে হতদরিদ্রদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে যুবলীগ নেতা

করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে সারা দেশের ন্যায় চকরিয়া উপজেলা ও একটি পৌরসভা এলাকায় অঘোষিত ভাবে চলছে লকডাউন। জাতীয় এ দুর্যোগ মুহুর্তে মানবিক সহায়তা হিসেবে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা প্রায় সহস্রাধিক হতদরিদ্র ও কর্মহীন মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে রাতের আধারে নিরবে খাদ্য সামগ্রী দিয়ে যাচ্ছেন চকরিয়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাফি টাইলস্ এজেন্সির স্বত্ত্বাধিকারী সাবেক ছাত্রনেতা আলহাজ্ব কাউছার উদ্দিন কছির।

তিনি উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় রাতের আধারে ঘরে ঘরে গিয়ে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে ফটো সেশন ছাড়া এ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।

উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কছিরের সার্বিক তত্বাবধানে ও ব্যবস্থাপনায় দু‘দিনে ইতোমধ্যে সহস্রাধিক কর্মহীন, দরিদ্র ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের মাঝে এই খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেয়া হয়েছে। তন্মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, তেল, পেয়াজ ও আলু।

খাদ্য সহায়তা বিতরণ প্রসঙ্গে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ কাউছার উদ্দিন কছির বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের প্রভাবে সাধারণ মানুষ বিশেষ করে শ্রমজীবী পরিবারগুলো বেশি দুর্ভোগে আছে।

দুর্যোগের এই মুর্হুতে শ্রমজীবী এসব মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। নিজের সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে জাতীয় এ দুর্যোগ মুহুর্তে মানবিক সহায়তা হিসেবে এলাকার কর্মহীন ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষের পাশে এসে আমার দাঁড়ানো।

তিনি আরও বলেন, উপজেলা ও পৌরসভা এলাকায় হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা কর্মহীন, দরিদ্র, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও শ্রমজীবী মানুষের মাঝে ইতোমধ্যে সহস্রাধিক পরিবারে রাতের অন্ধকারে ঘরে ঘরে গিয়ে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে চাল, ডাল, আলু, তেলসহ খাদ্য সামগ্রীর প্যাকেট সবার হাতে তুলে দিয়েছি। আমি অতীতেও এলাকার বিভিন্ন দুর্যোগ ও বিপদে আপদের সময় জনগণের মানবতার সেবায় সর্বদা পাশে নিয়োজিত ছিলাম, আছি এবং আগামীতেও তাদের পাশে থাকার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

 তিনি আরো বলেন, যদি মধ্যবিত্ত পরিবারের কারও সমস্যা হয় তাহলে আমাকে ফোন দিবেন, আপনার বাসায় সাধ্যমত খাদ্য সহায়তা পৌঁছে যাবে ইনশআল্লাহ্।

তিনি আরো জানান, এসব খাদ্য সামগ্রী বিতরণের সময় সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছেন, ব্যবসায়ী মো.জাকরিয়া চৌধুরী, নজরুল ইসলাম টিটু, মোহাম্মদ ইসমাইল , মিজানুর রহমান, মো.আলমগীর , শ্রীজন দে, সৈকত দাশ প্রমুখ।

Exit mobile version