মাটিরাঙায় বিজিবির মহতী উদ্যোগে ঘর পেলেন ১৭ গৃহ ও ভূমিহীন পরিবার

জাতির পিতার জন্মবার্ষিকীকে স্মরণীয় করে রাখতে গৃহহীন, ভূমিহীন ও অসহায় ১৭টি পরিবারকে ঘর দিয়েছে খাগড়াছড়ির দুর্গম পাহাড়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত ২৩ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন যামিনীপাড়া জোন। শুধুমাত্র ঘর নয়, আসবাবপত্র, শৌচাগারসহ গৃহস্থলির যাবতীয় সরঞ্জাম দেয়া হয় পরিবারগুলোকে। বিজিবির এমন মহতী উদ্যোগে প্রশংসার জোয়ার বইছে এলাকায়। আগামীতে এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলছেন বিজিবি।

সত্তরোর্ধ্ব আছিয়া খাতুন চোখে মুখে এখন বাঁধভাঙা আনন্দের উচ্ছ্বাস। অথচ মাত্র কয়দিন আগেও অন্যের বসত ভিটায় স্থান ছিল তার। বিজিবির মহতী উদ্যোগে ভূমি ও গৃহহীন আছিয়ার ঠিকানা এখন তার নিজের ঘর হয়েছে। শুধু ঘর নয়, সাথে দেয়া হয়েছে আসবাবপত্র, নলকূপসহ গৃহস্থলির যাবতীয় সামগ্রী। এতে খুশি জোয়ার বইছে আছিয়া খাতুনসহ ১৭টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারে।

জাতির পিতার ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসে আছিয়ার মতো যামিনীপাড়া জোনের আওতাধীন তবলছড়ি, বর্ণাল ও তাইদং ইউনিয়নের দুর্গম এলাকার আরও ১৬টি গৃহহীন, ভূমিহীন, অসহায় প্রতিবন্ধী, আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ও আর্থিকভাবে অসচ্ছল পাহাড়ি-বাঙালি পরিবারকে ঘর বানিয়ে দিয়েছে জামিনী পাড়া ২৩ বিজিবি।

সীমান্তের প্রত্যন্ত এলাকায় নিজে গিয়ে ঘরগুলো হস্তান্তর করেন জামিনীপাড়া ২৩ বিজিবির জোন কমান্ডার লে. কর্নেল এবিএম জাহিদুল করিম।

এমন উপহারে খুশি সহায়-সম্বলহীন পরিবারগুলো। বিজিবির নিজস্ব অর্থায়নে হতদরিদ্র ও সুবিধা বিঞ্চিতদের জন্য এমন উদ্যাগকে ইতিবাচক বলছেন স্থানীয় জনপ্রতিতনিধিরা।

জামিনীপাড়া ২৩ বিজিবির জোন কমান্ডার লে. কর্নেল এবিএম জাহিদুল করিম বলেন, ১৭ মার্চ জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত হয়েছে। সে দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ১৭ অক্ষরে ১৭ গৃহহীন ও অসহায় পরিবারকে গৃহ নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। তিনি সীমান্তে অর্পিত দায়িত্বের পাশাপাশি এ ধরনের আর্থসামাজিক উনয়নমূলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন।

সতেরটি ঘর নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১২ লাখ টাকা। যামিনীপাড়া ২৩ বিজিবি জোনের এ মহতী উদ্যোগ অব্যাহত থাকুক এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।

নিউজটি ভিডিওতে দেখুন:

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ঘর, বিজিবি, মাটিরাঙা
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন