খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে দুই মাদ্রাসা শিক্ষককে বহিষ্কার করেছেন মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি। ঘটনার ৩ দিন অতিবাহিত হলেও জানেনা শিক্ষা অফিস।
বহিষ্কৃত শিক্ষকরা হলেন, মধ্যপাড়া জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও সহকারী শিক্ষক শাহরিয়া নাজিম এবং সহকারী শিক্ষিকা শাহিদা আক্তার সালমা। তারা দুইজনই আদর্শগ্রাম আনোয়ারা বেগম দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক। শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) মৌখিকভাবে তাদের সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, মাটিরাঙ্গা পৌরসভার আদর্শগ্রাম আনোয়ারা বেগম ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় কর্মরত সাধাররণ বিভাগের শিক্ষিকা শাহিদা আক্তার সালমা। একই মাদ্রাসায় চাকরি করেন মধ্যপাড়া জামে মসজিদের ইমাম শাহরিয় নাজিম। দীর্ঘদিন একই প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুবাদে দুই জনের মধ্যে গড়ে উঠে প্রেমের সম্পর্ক। পরে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তারা।
সালমার ভাষ্যমতে দুই থেকে আড়াই বছরের বেশি সময় ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক। বিয়ের করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হন তারা।
সালমা জানান, শাহরিয়া নাজিম তাকে বিয়ে না করলে আইনের আশ্রয় নেবেন তিনি।
এদিকে অভিযুক্ত ইমাম ও মাদ্রাসা শিক্ষক শাহরিয়া নাজিম বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, তার বিরুদ্ধে একটি মহল চক্রান্ত করছে। পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। সালমার সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই। সালমা সেযেসব অভিযোগ করছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলেও জানান তিনি।
এদিকে বিষয়টি জানাজানি হলে শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুই শিক্ষককে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানান মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল হাশেম। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে সত্যতা পাওয়া গেলে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।
মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আরিফুল ইসলাম বলেন, উভয়ের পরষ্পর বিরোধী অভিযোগের ভিত্তিতে মাদ্রসা পরিচালানা কমিটির সাথে পরামর্শক্রমে দুই শিক্ষককেই সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট পৌর কাউন্সিলর আলগীর হোসেন জানান, বিষয়টি মধ্যপাড়া সমাজ কমিটির সভাপতি মোস্তফার মাধ্যমে অবগত হয়েছি। দুই পক্ষের কেউ জানায়নি। সামাজিকভাবে উভয়ের লোকজন নিয়ে গত রবিবার বিকালে বসার কথা থাকলেও রাত পর্যন্ত কেউ কোন যোগাযোগ করেনি।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা শিক্ষা অফিসার (অতি. দায়িত্ব) শরিফুল ইসলাম বিদ্যুৎ জানান, বিষয়টি শিক্ষা অফিসকে অবগত করা হয়নি। অভিযোগ ফেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ কমল কৃঞ্চ ধর জানান, এ বিষয়ে আমি অবগত নয়। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।