পার্বত্য নিউজ রিপোর্ট:
পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার তাইন্দংয়ের পাহাড়ি গ্রামগুলোতে হামলা ঠেকাতে পুলিশ এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়নি। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর অকার্যকর ভূমিকা প্রকারান্তরে এ হামলা চালাতে সেখানকার পুনর্বাসিত বাঙালিদের সহায়তা করেছে।
মাটিরাঙ্গার সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনার বিষয়ে এক তদন্ত প্রতিবেদনে এসব দাবি করেছে পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক দল পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস)। ৩ আগস্ট তাইন্দংয়ের ১১টি গ্রামে এ হামলা হয়। এ হামলায় পাহাড়িদের কমপক্ষে এক কোটি ৭৮ লাখ টাকার ধনসম্পদ নষ্ট হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে। ১৪ আগস্ট তদন্ত প্রতিবেদনটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, সেই হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিশ্রুত সাহায্য এখনো পায়নি। তাদের সম্মানজনক পুনর্বাসনও হয়নি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এ হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মোট ৩৬টি ঘরবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। দুটি বৌদ্ধ মন্দিরসহ মোট ৪০০ পাহাড়ি আদিবাসীর বাড়ি ভাঙচুর করে লুটপাট করা হয়। মোট ৪৫৪টি পরিবারের প্রায় দুই হাজার পাহাড়ি এ হামলার পর বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ‘নো ম্যানস ল্যান্ডে’ আশ্রয় নেয়। এ ছাড়া ত্রিপুরা জাতির প্রায় দেড় হাজার মানুষ এলাকা ছেড়ে খাগড়াছড়ির পানছড়িতে পালিয়ে যায়।
২০ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদনটি নিজস্ব অনুসন্ধান করে লেখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পিসিজেএসএসের প্রচার সম্পাদক মঙ্গল কুমার চাকমা।