parbattanews

মাটিরাঙ্গার তবলছড়ি ও তাইন্দং এলাকায় উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের তাণ্ডব

গত ৪ এবং ৫ এপ্রিল ২০২১ তারিখ খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার তবলছড়ি ও তাইন্দং এলাকাস্থ শুকনাছড়ি, ইসলামপুর, লাইফুপারা ও পংবাড়ী এলাকায় ঘটে যায় এক মর্মান্তিক ঘটনা। ইউপিডিএফ প্রসিত দলের সন্ত্রাসীদের নৃশংস হামলায় বাঙালিদের জনজীবন প্রায় বিপন্নের পথে। ইউপিডিএফ প্রসিত দল স্থানীয় এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের উদ্দেশ্যে বেশ কিছুদিন যাবত এলাকায় চাঁদাবাজি এবং বাঙালিদের এলাকা থেকে বিতাড়িত করার চেষ্টা করে।

ঘটনার সূত্রপাত হয় ৪ এপ্রিল ২০২১ আনুমানিক সকাল সাড়ে দশটার দিকে লাইফুকারবারি পাড়া এলাকায় কচু ক্ষেতে কর্মরত ২০-২৫ জন বাঙ্গালীকে আকস্মিকভাবে ১২-১৫ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী ঘেরাও করে মারধর করে এবং ১৫-২০ রাউন্ড ফাকা গুলি চালিয়ে ভয় দেখায়। উক্ত ঘটনায় ৩-৪ জন বাঙালি গুরুতর আহত হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌছানোর পূর্বেই দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।

পরবর্তিতে, ৫ এপ্রিল ২০২১ তারিখে সন্ত্রাসীরা সকাল আনুমানিক ৮টার দিকে আবার বাঙ্গালি গ্রামে প্রবেশ করে বাঙ্গালিদের বেধড়ক মারধর করে ঘর থেকে বাহির করে দেয়। একই দিনে রাত ৯ টার দিকে পুনরায় বাঙ্গালি গ্রামে ৫০/৬০ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী হানা দেয় এবং বাঙ্গালিদের মারধর ও ঘরবাড়ি হতে বাহির করে দেয়।পরে খবরটি চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে মুসলিমপাড়া, ইসলামপুর, শুকনাছড়ি সহ আশে পাশের গ্রাম থেকে বাঙালিরা একত্রিত হয় তাইন্দং বাজারে। বাঙ্গালিরা একত্রিত হয়ে ধাওয়া দিলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় মুসলিমপাড়ার পংবাড়ী এলাকার বাঙ্গালি মফিজ মিয়ার দখলীকৃত সেগুন বাগানের ৩ শতাধিক সেগুন গাছ কেটে দেয়। এরপর নিরীহ আনু মিয়ার চায়ের দোকান দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার সময় পুড়িয়ে দেয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে তবলছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক।

স্থানীয় বাঙ্গালিরা মনে করে, সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহারের ফলে পাহাড়ে উপজাতি সন্ত্রাসীদের হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে। পাহাড়ে বর্তমানে নিরাপত্তা সংকট তৈরি হয়েছে। এর ফলে সন্ত্রাসীরা নির্বিঘ্নে বাঙ্গালিদের উপর হামলা করার সাহস পাচ্ছে। ১৯৯৭ সালের পার্বত্য চুক্তির শর্ত অনুযায়ী সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে ২৪০ টি সেনাক্যাম্প প্রত্যাহার করে নেয়৷

বর্তমানে উক্ত এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিদ্যমান। উক্ত স্থানে নিরাপত্তা বাহিনীর টহল ও পেট্রোলিং কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। আজ স্থানীয় সংসদ সদস্য, রিজিয়ন কমান্ডার, জোন কমান্ডার ও জেলা প্রশাসক উক্ত স্থান সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।

Exit mobile version