parbattanews

মাটিরাঙ্গার তাইন্দংয়ে শিক্ষকের লাথিতে জ্ঞান হারালো শিক্ষার্থী 

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেতের ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকলেও শ্রেণি কক্ষেই শাহিনা আক্তার নামে এক শিক্ষার্থীকে লাথি মারলেন শিক্ষক। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থী শ্রেনি কক্ষেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভয় ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) পার্বত্য খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার সীমান্তঘেঁষা তাইন্দং উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে এ ঘটনা জানাজানি হলে অভিভাবক মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
শিক্ষকের হাতে আক্রান্ত শাহিনা আক্তার তাইন্দংয়ের মুসলিমপাড়ার নোয়াব আলী সর্দারের মেয়ে। সে তাইন্দং উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, তাইন্দং উচ্চ বিদ্যালয়ে চতুর্থ পিরিয়ড চলাকালীন দশম শ্রেণিতে পাঠদানকালে বৌদ্ধ ধর্মীয় শিক্ষক নন্দপাল চাকমা কোন কারণ ছাড়াই টেবিলের উপর উঠে শাহিনা আকতারের বুকে ও পেটে লাথি মারেন। এসময় তিনি বলেন, চাকরি গেলে যাবে তোকে আজ মেরে ফেলবো। এসময় তার সহপাটি শিক্ষার্থীদের চিৎকারে পাশের শ্রেণি কক্ষ থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ছুটে আসে। এবং ওই শিক্ষকের হাত থেকে আক্রান্ত শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে বিদ্যালয়ের পাশে একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে তাইন্দং বাজারে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
ঘটনার সময় তাইন্দং উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. রেজাউল করিমের বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে মাটিরাঙ্গা উপজেলা মৎস্য অফিসার মো. আরিফুর রহমান তদন্ত করছিলেন বলে জানা গেছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে তাইন্দং উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. রেজাউল করিম বলেন, প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আক্রান্ত শিক্ষার্থী তার বাড়িতে ফিরে গেছে। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সিনিয়র শিক্ষক মো. নুর নবীকে প্রধান করে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তিন কার্য দিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এব্যাপারে জানতে চাইলে তাইন্দং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন ঘটনা অনাকাঙ্খিত। বিদ্যালয়টি অভিভাবকহীন হওয়ার কারনেই এমন ঘটনা ঘটেছে। তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্ত শিক্ষককে আইনের আওতায় আনারও দাবী জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভীষণ কান্তি দাশ বলেন, তদন্ত করে রিপোর্ট দেয়ার জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে বলা হয়েছে। রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
Exit mobile version