parbattanews

মাটিরাঙ্গার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যেন মুখ থুবড়ে না পড়ে: লে. কর্নেল কাজী মো. শামশের উদ্দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক, মাটিরাঙ্গা:

বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে মাটিরাঙ্গা উপজেলা শ্রী শ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা ও আলোচনাসভার আয়োজন করে।

দিবসটি উপলক্ষে সোমবার (১৪ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে মাটিরাঙ্গা কেন্দ্রীয় শ্রী শ্রী রক্ষাকালী মন্দির পরিচালনা পরিষদ ও সনাতন ছাত্র-যুব পরিষদের সহযোগিতায় মাটিরাঙ্গা কেন্দ্রীয় শ্রী শ্রী রক্ষাকালী মন্দির থেকে এক বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় রক্ষাকালী মন্দির প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। এর আগে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিএম মশিউর রহমান।

বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষে মাটিরাঙ্গা কেন্দ্রীয় শ্রী শ্রী রক্ষাকালী মন্দির প্রাঙ্গণে শ্রী শ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাবুল বণিক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাটিরাঙ্গা জোন অধিনায়ক লে. কর্নেল কাজী মো. শামশের উদ্দিন পিএসসি, জি। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিএম মশিউর রহমান, মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাহাদাত হোসেন টিটো ও মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মো. শামছুল হক। প্রশান্ত কুমার সাহা‘র সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন শ্রী শ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের আহবায়ক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার দাশ।

ধর্মের নামে যেন কেউ কোন ধরনের সহিংসতা বা সাম্প্রদায়িক উস্কানীর সৃষ্টি না করে সেদিকে লক্ষ্য রাখার আহবান জানিয়ে মাটিরাঙ্গা জোন অধিনায়ক লে. কর্ণেল কাজী মো. শামশের উদ্দিন পিএসসি, জি বলেন, সব ধর্মই শান্তির আহবান জানায়। মাটিরাঙ্গার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোন ভাবেই যেন এখানকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি মুখ থুবড়ে না পড়ে। কোন অশুভ শক্তি যেন মাথাছাড়া দিয়ে উঠতে না পারে শ্রী কৃষ্ণের জন্মাষ্টমির দিনে এ শিক্ষা গ্রহণের আহবান জানান তিনি।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ভাদ্র মাসের কৃষ্ণ পক্ষের অষ্টমী তিথিতে অত্যাচারীর বিরুদ্ধে দুর্বলের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন রক্ষায় এ ধরায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অবতার হয়ে আসেন। তারা বলেন, এ দিনে উপাবাসে সপ্ত জন্মকৃত পাপ বিনষ্ট হয়। তারা বলেন, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ দ্বাপর যুগের বিশৃঙ্খল ও অরক্ষিত মুল্যবোধের সময়ে প্রথিবীতে মানবপ্রেমের অমৃত বাণী  প্রচার ও প্রতিষ্ঠা করেছেন। পরামত্মার সঙ্গে জীবাত্মার মিলনই সেই বাণীর মুল বিষয়। তাই তিনি ভক্ত ও বিশ্বাসীদের কাছে প্রেমাবতার।

বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভায় কেন্দ্রীয় শ্রী শ্রী রক্ষাকালী মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক স্বপন কান্তি পাল, সহ-সভাপতি সমীর চন্দ্র বণিক, শ্রী শ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ব্রজলাল দেসহ দূর দূরান্ত থেকে আগত হিন্দু সম্প্রদায়ের ভক্তবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Exit mobile version