মাটিরাঙ্গায় আগুনে পুড়ে ছাই বসতবাড়ি ও দোকান ঘর
আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার চার দোকান ও দুই বসতবাড়ি। শুক্রবার (১১ জুন) গভীর রাতে মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গেইটে এ অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় পঞ্চাশ লাখ টাকারও বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে দাবি করেছেন দোকানীরা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ক্ষতিগ্রস্থ দোকানীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সারাদিনের ব্যস্ততা শেষে সবাই যখন যে যার বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিল তখনই গভীর রাতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়ে থাকতে পারে ধারণা করা হচ্ছে। আগুনের লেলিহান শিখায় সর্বস্বান্ত হয়ে গেছে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ চার দোকানী।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ দোকানী মো. রুবেল হোসেন জানান, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে বাড়ি থেকে আসার আগেই আমার দোকানের সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। অগ্নিকাণ্ডে তিল তিল করে গড়ে তোলা আমার সব শেষ হয়ে গেছে। আমার পক্ষে আর ঘুড়ে দাঁড়ানো সম্ভব হবেনা।
মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মিজানুর রহমান খোকন জানান, একটি ওষুধের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের লেলিহান শিখায় পুড়ে যায় দুইটি বসতবাড়ি ও চারটি দোকান। এতে ক্ষয়ক্ষতির পিরমান পঞ্চাশ লাখ টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে জানান তিনি।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পরপরই খাগড়াছড়ি ও মাটিরাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে আসলেও ততক্ষনে সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। মাটিরাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার দীপক কান্তি বড়ুয়া বলেন, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে শুক্রবার গভীর রাতে সংগঠিত অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেছেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওযামী লীগের সভাপতি এম হুমায়ুন মোরশেদ খান, মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মো. শামছুল হক ও মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মিজানুর রহমান খোকন। এসময় তারা ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের স্বান্তনা দিয়ে সবধরনের সহযোগিতা আশ্বাস দেন।