মুজিবুর রহমান ভুইয়া :
মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের মরহুম মো: রফিকুল ইসলাম ভুইয়ার পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা অনুদান প্রদানের দুই দিনের মাথায় স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতা মরহুম হেলাল উদ্দিনের পরিবারকে নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করা হয়েছে। এ অনুদান পেয়ে সহায়-সম্বলহীন একটি পরিবারের মাথা তুলে দাঁড়ানোর সুযোগ তৈরী হওয়ার পাশাপাশি অসহায় কর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর এক নতুন সংস্কৃতিরও চর্চা শুরু হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।
খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মংসুইপ্রু চৌধুরী অপুর পক্ষে মঙ্গলবার সকালে দিকে দলীয় কার্যালয়ে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে মরহুম হেলাল উদ্দিনের স্ত্রী-সন্তানের হাতে অনুদানের টাকা তুলে দেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ চাকমা, মাটিরাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো: হারুনুর রশিদ ফরাজী, মাটিরাঙ্গা উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: জহিরুল ইসলাম খন্দকার এবং পৌর সেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি বাবুল আহম্মেদসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
গেল ৬ সেপ্টেম্বর মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের বর্ধিত সভায় বক্তারা স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতা মরহুম হেলাল উদ্দিনের পরিবারের দৈন্যদশার কথা তুলে ধরে বক্তব্য দেন।
এসময় নেতৃবৃন্দ পরিবারটির অসহায়ত্ব তুলে ধরে বলেন, এক সময় দলের নিবেদিত কর্মী হেলাল উদ্দিনের পরিবার আজ খেয়ে-না খেয়ে দিন পার করছে। তারা পরিবারটির পাশে দাঁড়াতে দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানান। তাদের এ বক্তব্যে অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এবং পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু তাঁর ব্যক্তিগত তহবিল থেকে স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতা মরহুম হেলাল উদ্দিনের পরিবারকে পঞ্চাশ হাজার টাকা অনুদান প্রদানের ঘোষণা দেন।
অনুদানের অর্থ গ্রহণের পর মরহুম হেলাল উদ্দিনের স্ত্রী ফাতেমা বেগম সংবাকর্মীদের জানান, স্বামীর মৃত্যুর পর পরিবারে উপার্জন করার মতো কেউ নেই। ৭ সন্তান নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে কোনভাবে জীবন যাপন করছেন। অর্থাভাবে ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনা বন্ধ হওয়ার পথে। পরিবারের শেষ সম্বল রেশন কার্ডটিও অন্যের কাছে বন্ধক দেওয়া। তাদের দুরাবস্থার কথা শুনে আর্থিক সহায়তার জন্য তিনি মংসুইপ্রু চৌধুরী অপুসহ আওয়ামী লীগ-যুবলীগ নেতৃবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।