parbattanews

মাটিরাঙ্গায় এক শিক্ষকের লালসার শিকার একাধিক নারী

নিজস্ব প্রতিবেদক:

স্ত্রী থাকার কথা গোপন করে এক কলেজ ছাত্রীর সাথে আপত্তিকর আবস্থায় মো. আযম খান নামে এক স্কুল শিক্ষক জনতার হাতে আটক হয়েছে। জনতার হাতে আটক স্কুল শিক্ষক মাটিরাঙ্গা উপজেলা আমতলী ইউনিয়নের হাজী আবদুল জলিলের ছেলে। এবং উপজেলার মাটিরাঙ্গার রামশিরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। বুধবার (৫ অক্টোবর) দুপুরের পরে মাটিরাঙ্গার একটি পার্ক থেকে তাকে আটক করা হয়।

তাকে আটকের পর স্ত্রী থাকার পরেও তা গোপন করে প্রেম ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিক নারীর জীবন নষ্ট করার মতো চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসছে।

জানা গেছে, একাধিক নারীর সাথে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলেই ক্ষান্ত হয়নি ওই শিক্ষক। তিনি বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই সকল নারীদের টাকা পয়সাও হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন প্রেম করে ৫ লাখ টাকা কাবিনে ১৬/১০/২০১০ তারিখে বেলছড়ি ইউনিয়নের খেদাছড়ার মৃত আবদুল আলীমের মেয়ে সানজিদা আলীমকে বিয়ে করেন নারীলোভী মো. আযম খান। বিয়ের পর চার বছর সম্পর্ক ভালো থাকলেও সে ধীরে ধীরে সে তার স্বরূপ উন্মোচন করে। বিভিন্ন সময়ে তার কাছে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে লোভী মো. আযম খান। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে তার চাকুরীর জন্য তিন লাখ টাকা দিয়েছেন বলেও জানান সানজিদার মা মমতাজ বেগম।

আটকের পরপরই নিজের স্ত্রীর থাকার কথা গোপন করে নারী লোভী স্কুল শিক্ষক মো. আযম খান একাধিক নারীর জীবন নষ্ট করার মতো চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে।

তাকে আটকের পরপরই তবলছড়ির এক নারী বিচারের দাবিতে ছুটে আসেন।

তাইন্দংয়ের এক নারী ফোন করে বিচার দাবি করেছে। তারা জানায় নারী লোভী স্কুল শিক্ষক মো. আযম খান বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের স্বর্বস্ব শেষ করেছেন। তারা তাকে মানুষরুপী পশু দাবি করে তার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করেন।

এদিকে সন্ধ্যার দিকে তার বিরুদ্ধে মাটিরাঙ্গা থানায় অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী সানজিদা আলীম। বিষয়টি নিশ্চিত করে মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মো. জাকির হোসেন বলেন, আটক শিক্ষক মো. আযম খান পুলিশ কাস্টডিতে রয়েছে। বিষয়টি অনুসন্ধান করে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে স্ত্রী থাকার কথা গোপন করে একাধিক নারীর সাথে অনৈতিক সর্ম্পক গড়ে তোলা শিক্ষক মো. আযম খানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ারও দাবি করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল। তাদের মতে তাকে শাস্তির আওতায় আনা না হলে ভবিষ্যতেও এভাবেই নারীদের সবকিছু খোয়াতে হবে।

Exit mobile version