parbattanews

মাটিরাঙ্গায় এসএসসিতে কমেছে জিপিএ-৫

পার্বত্য খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় ১০টি উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি‘র পরীক্ষার ফলাফলে কমেছে জিপিএ ফাইভ। ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে জিপিএ ফাইভ পেয়েছে মাত্র চার জন শিক্ষার্থী।

এমন ঘটনায় হতাশায় ভুগছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহল। দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলার বিদ্যালয়গুলোতে জিপিএ ফাইভ পাওয়ার ক্ষেত্রে চমক সৃষ্টি কররেও সম্পুর্ণ উল্টো চিত্র মাটিরাঙ্গায়।

যার মধ্যে মাটিরাঙ্গা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১ জন, তাইন্দং উচ্চ বিদ্যালয়ের ১ জন ও মাটিরাঙ্গা মিউনিসিপ্যাল মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ২ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।

এবারের ফলাফলে জিপিএ ফাইভের পাশাপাশি কমেছে পাশের হারও। মাটিরাঙার এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে গড় পাশের হার ৭৬.৭৩ শতাংশ।

এদিকে মাটিরাঙ্গা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৮২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ১১২জন। পাশের হার ৬১ শতাংশ। মাটিরাঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬৪জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৪৫ জন। পাশের হার ৭০ শতাংশ।

মাটিরাঙ্গা মিউনিসিপ্যাল মডেল হাই স্কুলের ৯৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৮০ জন। পাশের হার ৮৬ শতাংশ। শান্তিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৫৬ জন। পাশের হার ৬২ শতাংশ। খেদাছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৫২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৯৭ জন। পাশের হার ৫৯ শতাংশ। আলুটিলা বটতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪৬ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৩২ জন। পাশের হার ৬৯ শতাংশ।

তবলছড়ি কদমতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩৫৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৩০৪ জন। পাশের হার ৮৫ শতাংশ। তাইন্দং উচ্চ বিদ্যালয়ের ২২১ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ২০০ জন। পাশের হার ৯০ শতাংশ। গোমতি উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০৮ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ১৬৭ জন। পাশের হার ৮০ শতাংশ। আমতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯৬ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৭১ জন। পাশের হার ৭৩ শতাংশ।

একাধিক অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে এ প্রতিনিধিকে বলেন, শিক্ষার্থীদের পাঠদান করালেই তো তারা ভালো ফলাফল করবে। বিদ্যালয়ে পাঠদান নয় সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রাইভেট পড়ানো শিক্ষকদের অন্যতম কাজ হয়ে দাড়িয়েছে বলেই আজকে এ অবস্তার সুষ্টি হয়েছে।

এদিকে কৃতকার্য শিক্ষার্থীদের অবিনন্দন জানিয়ে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভীষণ কান্তি দাশ বলেছেন, ভালো ফলাফলের জন্য শিক্ষার্থীদের অধ্যবসায়ে মনযোগী হতে হবে। যারা কৃতকার্য হতে পারেনি তাদেরকে আগাম প্রস্তুতি গ্রহনেরও পরামর্শ দেন তিনি। তবে শিক্ষকদেরকে প্রাইভেট বা কোচিং নির্ভরতা কমিয়ে ক্লাসে পাঠদানে আন্তরিক হওয়ার আহবান জানান শিক্ষাবান্ধব এ কর্মকর্তা।

Exit mobile version