parbattanews

মাটিরাঙ্গায় কঠিন চীবর দানোৎসব পালিত

06.11

সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার :

ব্যাপক আয়োজন আর উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মাটিরাঙ্গা ঐতিহ্যবাহী আশোকারামা কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারের উদ্যোগে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান ‘কঠিন চীবর দানোৎসব’ পালিত হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে মাটিরাঙ্গার ঐতিহ্যবাহী আশোকারামা কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারে দিনব্যাপী দানোত্তম কঠিন চীবর দানোৎসবের উদ্বোধন করেন খাগড়াছড়ি ভিক্ষু এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ‘র সভাপতি ভদন্ত সভনা মহাথের।

‘কঠিন চীবর দানোৎসব’ উপলক্ষ্যে আশোকারামা কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহার প্রঙ্গণে আয়োজিত ধর্মসভায় সভাপতিত্ব করেন খাগড়াছড়ি ভিক্ষু এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ‘র উপ-সংঘ রাজ সুন্দ্রা মহাথের। ইন্দ্রবংশ ভিক্ষু পরিচালনায় দিনব্যাপী দানোত্তম কঠিন চীবর দান উৎসবে ধর্মদ্বেশনা প্রদান করেন খাগড়াছড়ি ভিক্ষু এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর সভাপতি ভদন্ত সভনা মহাথের। মাটিরাঙ্গা ঐতিহ্যবাহী আশোকারামা কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারের উৎসবের আয়োজিত ধর্মালোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন মাটিরাঙ্গা ঐতিহ্যবাহী আশোকারামা কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি আতশী মারমা।

শত শত বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত ধর্মসভায় বক্তারা বলেন, ‘ধর্মের নামে যারা সন্ত্রাস করছে, পৃথিবীতে মানব জাতীর মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি করছে তারা কোন দিন নির্বাণ লাভ করতে পারবে না। কারণ ক্ষমা ও মৈত্রী ভাব যার আছে সে জ্ঞানী। আর জ্ঞানী ব্যক্তি হিংসা ও সংর্ঘষ থেকে দূরে থাকে তাই পঞ্চশীল গ্রহণ করে বুদ্ধের বাণীগুলো যথাযথ ভাবে অনুসরণ করে সংঘাত পরিহার করে মৈত্রী ভাবনা চর্চা করার আহবান জানান। তারা বলেন, পথভ্রষ্ট পথিককে পথ দেখিয়েছেন বৌদ্ধ ভিক্ষু। তিনি শান্তির পথে আহবান জানিয়ে সত্যকে মানুষের মাঝে প্রচার করেছেন।

এর আগে কঠিন চীবর দানোৎসব উপলক্ষে মাটিরাঙ্গা ঐতিহ্যবাহী আশোকারামা কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারে ভোর থেকে নানা কর্মসূচি পালিত হয়। ভোরে প্রার্থনা ও সূত্র পাঠের মাধ্যমে উৎসবের কর্মসূচি শুরু হয়।

Exit mobile version