parbattanews

মাটিরাঙ্গায় চার বিদ্রোহী প্রার্থীকে বহিষ্কার

পার্বত্য খাগড়াছড়িতে দ্বিতীয় দফায় আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মাটিরাঙ্গা উপজেলায় চার ইউনিয়নে দলীয় মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় চার বিদ্রোহী প্রার্থীকে যুবলীগ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) খাগড়াছড়ি জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কেএম ইসমাইল দলীয় প্যাডে স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

অব্যাহতি প্রাপ্তরা হলেন, মাটিরাঙ্গার তাইন্দং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. হুমায়ুন কবীর (আনারস), মাটিরাঙ্গা উপজেলা যুবলীগের সদস্য ও বড়নাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. ইলিয়াছ (চশমা), গোমতি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. ফারুক হোসেন লিটন (আনারস) ও বেলছড়ি ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি ও চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. মামুন মিয়া (আনারস)।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দিলেও তারা দলের গুরুত্বপুর্ণ পদে থেকেও দলীয় প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন না করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যা আওয়ামী যুবলীগের দলীয় শৃঙ্খলা ও গঠনতন্ত্র পরিপন্থী। এতে সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। তাই বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল এর পরামর্শে তাদেরকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলো।

এবিষয়ে জানতে চাইলে গুমতি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. ফারুক আহাম্মদ লিটন বলেন, ‘ফেসবুকে দেখেছি আমাকেসহ চার প্রার্থীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও হাতে কোনও চিঠি পাইনি।’

এর আগে মাটিরাঙ্গার আমতলী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বাইরে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেয়ায় মাটিরাঙ্গার আমতলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জমির আলী ভুইয়া ছাড়াও দলীয় প্রার্থীর বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থীরও পক্ষে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় অংশ নেয়ায় চার আওয়ামী লীগ নেতাকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

Exit mobile version