মাটিরাঙ্গায় ছড়িয়ে পড়ছে হামের প্রাদুর্ভাব
প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের ঝুঁকির মধ্যেই রাঙ্গামাটির সাজেক ও খাগড়াছড়ির দীঘিনালার পরে এবার খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার দুর্গম পাহাড়ি জনপদে হামের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে।
করোনাভাইরাস আতঙ্ককে ছাপিয়ে দুর্গম পাহাড়ের একের পর এক জনপদে হামে আক্রান্ত হচ্ছে দুর্গম জনপদের শিশুরা। দ্রুত এসব আক্রান্ত এলাকায় শিশুদের হাম টিকা দেয়া না হলে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলাধীন মাটিরাঙ্গা ইউনিয়নের দুর্গম ১নং ওয়ার্ডের তৈাকাতাং ও ভক্তপাড়াসহ আশেপাশের এলাকায় হামের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়েছে।
এ ঘটনায় সেখানে কমপক্ষে ৭ শিশু হাম রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজনকে মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালে ভর্তিকৃত শিশুরা হলো, হারপুর্ণ কাবারী পাড়ার হামযাক ত্রিপুরা ( ৮), সেয়ারী ত্রিপুরা (৭) এবং ভক্তপাড়ার পরিমল ত্রিপুরা (৬)। তারা সকলেই স্থানীয় প্রাথমিক
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
এ ঘটনায় মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ওমর ফারুকের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল টিম দুপুর থেকেই দুর্গম এলাকায় চিকিৎসাসেবা প্রদান করেন।
পাঁচ সদস্যের মেডিকেল টিম চিকিৎসা শেষে চারজনকে বাড়ি পাঠানো হয়েছে জানিয়ে ডা. ওমর ফারুক বলেন, আক্রান্তের খবর শুনে আমরা ঘটনাস্থলে পৌছে আক্রান্তদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি।
হামের লক্ষণ থাকলেও পরীক্ষা ছাড়া তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। আক্রান্তদের নমুনা পরীক্সা করার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অন্য কোন শিশু আক্রান্ত হয়ে থাকলে তাদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসতে বলা হয়েছে।
এদিকে হামে আক্রান্তের খবর পেয়ে দুর্গম তৈকাতাং এলাকায় ছুটে যান মাটিরাঙ্গা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিরনজয় ত্রিপুরা।
তিনি বলেন, স্থানীয়দের অসচেতনতার কারনেই এমনটা ঘটেছে। তিনি এ পরিস্থিতিতে সকলকে সচেতন হওয়ারও আহ্বান জানান। তবে ওই এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে মনে করছেন এ জনপ্রতিনিধি।