parbattanews

মাটিরাঙ্গায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন

14.05.2014-Matiranga Belchari Pahar KATA

মাটিরাঙ্গা সংবাদদাতা :

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলাধীন বেলছড়ি ইউনিয়নের মালেক মেম্বার পাড়া এলাকায় বাড়ি নির্মাণের জন্য প্রকাশ্যে পাহাড় কাটা এখনও বন্ধ হয়নি। প্রশাসনের নীরবতার সুযোগে অব্যাহতভাবেই চলছে বাড়ি নির্মাণের জন্য পাহাড় কাটার কাজ। পাহাড় কাটার সাথে জড়িত ব্যাক্তির বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়ার কথা বললেও গত ১৫ দিনেও পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন। ফলে প্রশাসনের ভুমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে স্থানীয় সচেতন মহলে।

খোজ নিয়ে জানা গেছে, পদ্মা অয়েল কোম্পানীতে কর্মরত স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী মো: আনোয়ার হোসেন বাড়ি নির্মাণের জন্য বেলছড়ির মালেক মেম্বার পাড়া এলাকায় স্থানীয় প্রশাসন বা পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন ধরনের অনুমোদন ছাড়াই প্রায় পঞ্চাশ ফুটেরও বেশী উচ্চতার পাহাড়টি অব্যাহতভাবে কেটে চলেছেন।  

প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া পাহাড় কাটার বিষয়ে মো: আনোয়ার হোসেন‘র কাছে জানতে চাইলে তিনি দম্বোক্তি করে বলেন, আমি বাড়ি করবো তাই আমার পাহাড় আমি কাটছি এজন্য কারো অনুমতি নেয়ার প্রয়োজন মনে করিনি। তাই কোথাও অনুমতি নিইনি।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় ভাবে খুবই প্রভাবশালী মো: আনোয়ার হোসেন মোটা অংকের বিনিময়ে প্রশাসনের মুখ বন্ধ করে রেখেছে। ফলে প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছেনা। প্রশাসনের এ ধরনের ভুমিকা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে সচেতন মহলে।

এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে মাটিরাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: মাইন উদ্দিন খান বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে এবিষয়ে আমাদের করার কিছু নেই। উপজেলা নির্বাহী অফিসার কোন নির্দেশনা দিলে তা আমরা বাস্তবায়ন করি মাত্র।

এদিকে  পার্বত্যনিউজে ‘ মাটিরাঙ্গায় পাহাড় কেটে বাড়ি নির্মাণ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর পাহাড় কাটার সাথে জড়িত ব্যাক্তির বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়ার কথা বললেও গত ১৫ দিনেও কোন ধরনের ব্যবস্থা নেননি মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ড. মোহাম্মদ মাহে আলম। বিভিন্ন গণমাধ্যমে ব্যস্থা নেয়ার কথা বলেও প্রকাশ্যে পাহাড় কাটার সাথে জড়িত ব্যাক্তির বিরুদ্ধে এখনও ব্যবস্থা না নেয়ায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের ভুমিকা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে সচেতন মহলে।

কোন ধরনের অনুমতি ছাড়াই পাহাড় কাটার সাথে জড়িত ব্যক্তির বিরুদ্ধে কেন কোন ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়নি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভুমি অফিসের সার্ভেয়ারকে তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। এখনও কোন রিপোর্ট না পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে আবারও তিনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান। যোগাযোগ করা হলে ভুমি অফিসের সার্ভেয়ার এ প্রতিনিধিকে জানান, এবিষয়ে তিনি কোন চিঠি পাননি। চিঠি পেলে অবশ্যই তদন্ত করবেন।

Exit mobile version