parbattanews

মাটিরাঙ্গায় ভারী শিলাবৃষ্টিতে ঝাঁঝরা হয়ে গেছে শতাধিক ঘরের টিনের চালা

প্রাণঘাতি করোনার ছোবলে মানুষের জীবনযাত্রা যখন বিপর্যস্ত। তখনই আবার বৈশাখী ঝড়ো বাতাসে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে ফসলের জমি আর ভারী শিলাবৃষ্টিতে ঝাঁঝরা হয়ে গেছে মানুষের বসত ঘরের টিনের চালা। এতে করোনার আতঙ্কের মাঝে নতুন করে ঝুঁকিতে পড়েছে পাহাড়ের সাধারণ মানুষ।

বৈশাখের শুরুতেই বুধবার (১৫ এপ্রিল) বিকালের দিকে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার অদুরে শান্তিপুরের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কাল বৈশাখীর ছোবলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হঠাৎ কাল বৈশাখীর হানায় গোমতির চারটি গ্রামের শতাধিক বাড়িঘরের টিনের চালা শিলার আঘাতে ঝাঁঝরা হয়ে গেছে। মাথা গোজার ঠাঁই টুকু হারিয়ে নতুন করে আশঙ্কা তৈরী হয়েছে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারে।

উত্তর শান্তিপুর, দক্ষিণ শান্তিপুর, চেয়ারম্যান পাড়া ও গড়গড়িয়া গ্রামে বাড়িঘরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে জানিয়ে গোমতির ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার ওসমান গনি জানান, ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছে। তাদের নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে সরকারি সহায়তাও দাবী করেন এ জনপ্রতিনিধি।

আকস্মিক শিলাবৃষ্টিতে নিজের ঘরের চালায় হাজারো ছিদ্র হয়েছে জানিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ মাহবুব আহমেদ জানায়, করোনাভাইরাসের প্রভাবে আমরা যখন নি:স্ব তখন কাল বৈশাখীর ছোবলে মাথা গোজার ঠাঁই টুকুও শেষ হয়ে গেল। নতুন করে ঘর তৈরী করা নিয়ে সংশয়ের কথাও জানান নিম্ন আয়ের মাহবুব আহমেদ।

গোমতি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম জানান, করোনাভাইরাসের কারনে সব মানুষ যখন ঘরবন্দী তখন কাল বৈশাখীর ক্ষয়ক্ষতি সামাল দেয়া তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়বে।

ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে সহায়তার উদ্যোগ নেয়া হবে জানিয়ে গোমতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফারুক হোসেন লিটন জানান, বিষয়টি মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানো হয়েছে।

Exit mobile version