parbattanews

মাটিরাঙ্গায় ভাষা ও সংস্কৃতি মেলার পর্দা উঠবে ২০ ফেব্রুয়ারি

ভাষা মেলা

সিনিয়র রিপোর্টার:

পার্বত্য খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় প্রথম বারের মতো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বিভিন্ন ভাষাভাষিদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘ভাষা ও সংস্কৃতি মেলা’। মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন এ মেলার আয়োজন করছে। আগামী ২০-২২ ফেব্রুয়ারি তিন দিনব্যাপী মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের গাছ তলায় এ মেলা অনুষ্ঠিত হবে। মেলা আয়োজনের প্রাথমিক কাজ শুরু করেছে মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন।

মাটিরাঙ্গায় প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ‘ভাষা ও সংস্কৃতি মেলা’ আয়োজনে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিএম মশিউর রহমানকে আহবায়ক ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) ইমরুল কায়েসকে সদস্য সচিব করে ১১ সদস্যের আয়োজক কমিটি গঠন করা হয়েছে।

‘ভাষা ও সংস্কৃতি মেলা’র কয়েকদিন বাকি থাকতেই মেলাকে কেন্দ্র করে মফস্বলের এই শহরে এখন উৎসব উৎসব ভাব। সর্বত্র যেন উৎসবের আমেজ। বই প্রেমিরাও মুখিয়ে আছে মাটিরাঙ্গাবাসীর কাঙ্খিত ভাষা ও সংস্কৃতি মেলার জন্য।

মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিএম মশিউর রহমান বলেন, প্রথম বারের মতো মফস্বল শহর মাটিরাঙ্গায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ‘ভাষা ও সংস্কৃতি মেলা’য় চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরাসহ বিভিন্ন ভাষাভাষিদের নিজস্ব ভাষা নিয়ে পৃথক পৃথক স্টল থাকবে। এ মেলায় উপজেলার বই বিক্রেতারাও অংশ নিচ্ছেন। থাকবে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্সা বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগের তথ্য ভিত্তিক স্টল। ইতিমধ্যে মেলায় অংশগ্রহণের আগ্রহ প্রকাশ করে স্থানীয় বই বিক্রেতারা তার সাথে সাক্ষাতও করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, আমা করছি মেলায় কাঙ্খিত সাড়া পাওয়া যাবে।

এদিকে স্থানীয় বই বিক্রেতারা মেলার সময় ৩ দিন থেকে বাড়িয়ে ৫ থেকে ৭ দিন করার দাবি করেছেন। তাদের মতে মেলার সময় বাড়ানো না হলে বিক্রেতারাই নয় পাঠক বা মেলায় আগতরাও বঞ্চিত হবেন।

আগ্রহীদেরকে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মেলা আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব সহকারী কমিশনার (ভুমি) ইমরুল কায়েস‘র কাছ থেকে নির্ধারিত ফি দিয়ে স্টল বরাদ্ধ নেয়া যাবে।

২০ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টার সময় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেলার উদ্বোধন করবেন বলে এ প্রতিনিধিতে নিশ্চিত করেছেন মেলা আয়োজক কমিটির আহবায়ক ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিএম মশিউর রহমান। মেলা শুরু না হতেই বিভিন্ন মহল থেকে ব্যাপক সাড়া দেখা যাচ্ছে দাবী করে তিনি বলেন তা নি:সন্দেহে ইতিবাচক।

এছাড়াও মেলা মাঠে প্রতিদিনই বিকাল থেকে চলতে থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এমনটা জানিয়ে মেলা আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব ও সহকারী কমিনার (ভুমি) ইমরুল কায়েস বলেন, মেলার স্টলগুরোর মতোই বিভিন্ন ভাষাভাষিদের সংস্কৃতি তুলে ধরার ব্যাবস্থা থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে।

Exit mobile version