parbattanews

মাটিরাঙ্গায় শহিদ মিনারে হাজারো শিক্ষার্থীর ঢল

নিজস্ব প্রতিবেদ, মাটিরাঙ্গা :

‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি’ মুখে মুখে এমন গান আর হাতে হাতে ফুল নিয়ে মাটিরাঙ্গার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ঢল নেমেছে হাজারো শিক্ষার্থীর। ভোরের সুর্য ওঠার সাথে সাথেই বর্ণিল পোশাকে ফুল হাতে আসা শিক্ষার্থীদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে ওঠে মাটিরাঙ্গা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণ।

সকাল সোয়া সাতটার সময় উপজেলা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ শিক্ষকদের সাথে নিয়ে শহিদ বেদীতে পুস্পমাল্য অর্পণ করে ৫২‘র ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভীষণ কান্দি দাশ।

এসময় মাটিরাঙ্গার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মাদ আলী, মাটিরাঙ্গা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মীর মো. মোহতাসিম বিল্লাহ, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা শেখ মো. আশরাফ উদ্দিন, নির্বাচন অফিসার মো. মহিউদ্দিন, মাটিরাঙ্গা সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হিরনজয় ত্রিপুরা, মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুল হাই, সহকারী শিক্ষা অফিসার কৃষ্ণলাল দেবনাথ, মাটিরাঙ্গা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আশরাফ উদ্দিন খোন্দকার, মাটিরাঙ্গা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবদুল মালেক ও মাটিরাঙ্গা বনশ্রী বিদ্যা নিকেতনের প্রধান শিক্ষক মো. আবু বকর ছিদ্দিক প্রমুখ অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।

এর পরপরই সকাল সাড়ে সাতটার দিকে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভীষণ কান্দি দাশ‘র নেতৃত্বে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হাজারো শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে নগ্ন পায়ে ‘প্রভাত ফেরী’ মাটিরাঙ্গা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার চত্বর থেকে শুরু করে প্রধান প্রধান সড়ক হয়ে মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘুরে মাটিরাঙ্গা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়।

সেখানে ভাষা দিবস, ভাষা আন্দোলন আর ভাষার মাস নিয়ে দেয়া বক্তব্যে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভীষণ কান্দি দাশ একুশের চেতনাকে ধারন ও লালন করে দেশকে ভালোবাসার আহ্বান জানান। ৫২‘র ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই শুরু হয় বাঙ্গালীর স্বাধীকার আন্দোলন। যার মধ্য দিয়ে একাত্তরে ৯ মাস যুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।

Exit mobile version