Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

মাটিরাঙ্গায় শিক্ষকের বাসায় হামলা করে সহযোগীসহ কাউন্সিলর সোহেল রানা শ্রীঘরে

পার্বত্যনিউজ রিপোর্ট :

মাটিরাঙ্গা মডেল হাই স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক মো. হাবিবুর রহমানের বাসায় হামলা, ভাঙচুর, প্রাণনাশের হুমকি ও শ্লীলতাহানির চেষ্ঠার অভিযোগে মাটিরাঙ্গা থানায় দায়ের করা মামলায় মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. সোহেল রানা সহযোগীসহ শ্রীঘরে।

বুধবার দুপুরের দিকে খাগড়াছড়ির চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমান’র আদালতে জামিনের আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে প্রেরণ করে। বাদী পক্ষের আইনজীবি এ্যাডভোকেট মঞ্জুর মোর্শেদ ভুইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামীগণ আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদেরকে জেলহাজতে প্রেরণ করে।

শিক্ষক হাবিবুর রহমান জানান, গত ১ অক্টোবর পৌরসভার কাউন্সিলর সোহেল রানা দলবল নিয়ে মুসলিমপাড়ায় তাঁর বসতবাড়িতে হামলা চালায়। ঐ সময় তিনি বাসায় ছিলেন না। তিনি অভিযোগ করেন, সোহেল রানার কাছে তাঁর মেয়েকে বিয়ে না দেয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।

শিক্ষক হাবিবর রহমানের সহধর্মীনি তওহিদা আক্তার জানান, সোহেল রানা দীর্ঘদিন ধরে তাঁর বড় মেয়েকে উত্যক্ত করত। কয়েকবার বিয়ের প্রস্তাবও দেয়। কিন্তু তারা এতে রাজী হননি। তার অত্যাচারে পড়ালেখা বন্ধ করে মেয়েকে গত মার্চে বিয়ে দিয়ে দেন। গত ঈদে মেয়েটি বাড়িতে বেড়াতে আসে। এ খবর পেয়ে কাউন্সিলর সোহেল রানা ১ অক্টোবর দুপুরে তাদের বাসায় ঢুকে ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করতে থাকে। এক পর্যায়ে মেয়েকে খুুঁজতে থাকে। এ সময় মেয়ে ঘরের একটি কক্ষে দরজা বন্ধ করে লুকিয়ে থাকে।

তিনি আরও বলেন, মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে সোহেল রানা অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করে এবং তাকে মারতে তেড়ে আসে। এ সময় তাঁর আর্তচিৎকারে প্রতিবেশীরা  ছুটে আসলে কাউন্সিলর তার দলবল নিয়ে চলে যায়। এ ঘটনায় শিক্ষক হাবিবুর রহমানের স্ত্রী ফরিদা আক্তার বাদী হয়ে গত ৪ অক্টোবর মাটিরাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

জানা যায়, পৌরসভার কাউন্সিলর সোহেল রানা এক সময় বিএনপির ক্যাডার ছিল। ২০১৫ সালে মাটিরাঙ্গা পৌরসভার নির্বাচনের আগে সে আওয়ামী লীগে যোগ দেয়। আওয়ামী টিকেটে নির্বাচন করে সে ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়।

স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর সে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে। তক্ষক ও ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক ব্যবসার সঙ্গে তার জড়িত থাকারও অভিযোগ রয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১ অক্টোবর বিকালের দিকে কয়েকজন সঙ্গীসহ মাটিরাঙ্গা পৌরসভার কাউন্সিলর মো: সোহেল রানা মাটিরাঙ্গা মডেল হাই স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক মো. হাবিবুর রহমানের বাসায় হামলা, ভাঙচুর চালায়। এসময় তারা ঐ শিক্ষকের অনুপুস্থিতির সুযোগে তার স্ত্রী ফরিদা আকতারকে মারতে উদ্যত হয়। এ ঘটনার পর মাটিরাঙ্গা পৌরসভার কাউন্সিলর মো: সোহেল রানা ও তার সহযোগি মো: জসিম উদ্দিনকে আসামী করে গত ৪ অক্টোবর মাটিরাঙ্গা থানায় অভিযোগ করেন শিক্ষক মো. হাবিবুর রহমানের স্ত্রী ফরিদা আকতার।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন