মাটিরাঙ্গা বাজরে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত

fec-image

সারাদেশে করোনার প্রকোপ বাড়তে থাকায় ইতোমধ্যে বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। করোনর সংক্রমন বাড়ায় দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের প্রথম দিনে শনিবার (২২ জানুয়ারি) সাপ্তাহিক হাটের দিন মাটিরাঙ্গা বাজারের চিত্র পুরোটাই উল্টো। এখানে সামাজিক দূরত্ব তো মানা হচ্ছেই না উল্টো মাস্ক ছাড়াই দেদারছে চলছে কেনাবেচা।

করোনার প্রাদুর্ভাব বাড়ার পর থেকেই মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণার পাশাপাশি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হলেও ব্যস্ততম মাটিরাঙ্গা বাজারে স্বাস্থ্যবিধি চরমভাবে উপেক্ষিত। শনিবার (২২ জানুয়ারি) হাটর দিনে মাটিরাঙ্গা বাজারে গিয়ে এমনই দৃশ্য দেখা গেছে।

সরেজমিনে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আগের মতোই বাজারে হাজারো ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতিতে সরগরম। ক্রেতা-বিক্রেতাদের অধিকাংশ মানুষই মাস্ক না পরে বাজারে এসেছেন। বলতে গেলে তাদের কারও মুখেই মাস্ক নেই। ক্রেতা-বিক্রেতারা ন্যূনতম শারীরিক দূরত্ব পালন করছেন না। বিভিন্ন পণ্যের দোকানের সামনে পাঁচ সাতজন জটলা পাকিয়ে উঁচু গলায় দরদাম ও কেনাকাটা করছেন।

মাটিরাঙ্গা বাজারের বিভিন্ন গলি ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতা-বিক্রেতদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা কম। সবাই যে যার মতো ঘুরছে। কারও মাস্ক থুতনিতে তো কারও মাস্ক ঝুলছে গলায়। প্রশাসন বা পুলিশের লোকজন দেখলে মাস্ক পড়লেও পুলিশ গেলেই খুলে ফেলেন তারা।

মো. আলী হোসেন নামের এক পাইকার জানান, এখানে কাঁচামাল বিক্রি করেই জীবিকা নির্বাহ করেন তাঁরা। ব্যবসা না করলে পরিবার চালানো সম্ভব নয় বলে জানান তিনি। এ বাজারে পাইকারদেও পাশাপাশি স্থানীয় কৃষকরাও তাদের উৎপাদিত পন্য বাজারে আনেন ফলে ভিড় একটু বেশি হয়। মাস্ক করেন পড়েন না এমন প্রশ্নে জবাবে স্থানীয় এক ক্রেতা বলেন, মাস্ক পড়লে কি হবে। করোনা হলে মাস্ক দিয়ে তো আটকে রাখা যাবেনা। সরকারী প্রচার প্রচারনা থাকলেও ক্রেতা বিক্রেতাদের মধ্যে সচেতনতার অভাব পরিলক্ষিত হয়েছে তাদের সাথে কথা বলে।

মাটিরাঙ্গা বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুল ইসলাম বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। তবে ক্রেতা থেকে শুরু করে সাধারন মানুষ মাস্কবিহীন বাজারে আসলে আমাদের করার কিছু থাকেনা।

মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তৃলা দেব বলেন, করোনা সংক্রমণ বাড়ার পর থেকেই মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে আমরা কাজ করছি। পাশাপাশি মাস্ক না পরার কারণে অনেককে জরিমানা করা হচ্ছে। আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন