parbattanews

মাটিরাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্সটি কবে সচল হবে?

11047234_780032875424335_229635638_n copyমুজিবুর রহমান ভুইয়া :

পার্বত্য খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ্যাম্বুলেন্সটি দীর্ঘ এক বছরের মতো সময় ধরে বিকল হয়ে পড়ে আছে। প্রয়োজনীয় বরাদ্ধের অভাবেই একবছর যাবৎ এ্যাম্বুলেন্সটি তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে হাসপাতাল গ্যারেজে। সেবা প্রার্থীদের একটাই প্রশ্ন মাটিরাঙ্গা হাসপাতালের একমাত্র অ্যাম্বুলেন্সটি কবে সচল হবে? কিন্তু বরাদ্ধ প্রাপ্তি সাপেক্ষে মেরামত হবে এর বাইরে কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, এক বছরের মতো সময় ধরে এ্যাম্বুলেন্সটি বিকল হয়ে হাসপাতালের গ্যারেজে তালাবদ্ধ অবস্তায় পড়ে থাকলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি চালাচালি ছাড়া এক বছরেও এ্যাম্বুলেন্সটি মেরামত করার কোন পদক্ষেপ নেয় নি স্বাস্থ্য বিভাগ বা খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ।

বৃহত্তর এ উপজেলার সরকারী হাসপাতালের একমাত্র এ্যাম্বুলেন্সটি অচল থাকায় মাটিরাঙ্গা উপজেলার চিকিৎসা সেবা প্রত্যাশীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। সঙ্কটাপন্ন রোগীদের চট্টগ্রাম বা কুমিল্লায় স্থানান্তর করা গলেও এ্যাম্বুলেন্সের অভাবে যথা সময়ে রোগী নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়না। ফলে অনেকেই প্রাণ হারান বিনা চিকিৎসায়।

সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ২০০৭ সালের শেষ দিকে মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সংযোজিত হওয়া এ এ্যাম্বুলেন্সটি গেল বছরের এপ্রিল মাসে রোগী নিয়ে যাওয়ার সড়ক দুর্ঘটনায় গক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর থেকেই এ্যাম্বুলেন্সটি মাটিরাঙ্গা হাসপাতালের গ্যারেজে পড়ে আছে মেরামতের অপেক্ষায়। মাত্র কয়েক লাখ টাকা বরাদ্ধের অভাবে প্রায় অর্ধকোটি টাকা মূল্যের আধুনিক এ্যাম্বুলেন্সটি গ্যারেজে পড়ে থেকে সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে পড়ার আশঙ্কাও করছে সংশ্লিষ্টরা। এ্যাম্বুলেন্সটি মেরামত করার জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্ধ পেতে খাগড়াছড়ি জেলা সিভিল সার্জনের মাধ্যমে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানান মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খাইরুল আলম। তিনি বলেন, যা খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের মাধ্যমে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পত্র পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এখনও কোন বরাদ্ধ পাওয়া যায় নি। বরাদ্ধ পেলেই এ্যাম্বুলেন্সটি আবারো সচল হবে বলেও জানান মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ শীর্ষ কর্তা।

এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বকাউল জানান, বিকল এ্যাম্বলেন্সটি জনস্বার্থে জরুরি ভিত্তিতে মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগ পার্বত্য জেলা পরিষদে ন্যাস্ত থাকায় এক্ষেত্রে তার বেশি কিছু করার সুযোগ নেই বলেও জানান তিনি।

এ্যাম্বলেন্সটির চালক ক্যাচিং মারমা জানান, এ্যাম্বুলেন্সটি জরুরিভিত্তিতে মেরামত করা না হলে গ্যারেজে পড়ে থেকে প্রায় অর্ধকোটি টাকা মূল্যের অত্যাধুনিক এ এ্যাম্বলেন্সটি পুরোপুরি অকেজো হয়ে পড়বে। তখন আর মেরামত করেও কোন কাজে আসবেনা।

Exit mobile version