মাটিরাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্সরে মেশিন আছে, সেবা নেই : দুই বছর ধরে অচল অ্যাম্বুলেন্স

fec-image

জাতীয় স্বাস্থ্য সূচকে যখন খাগড়াছড়ি জেলা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতাল শীর্ষ দশে আর বিভাগীয় পর্যায়ে তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে তখন পর্যাপ্ত চিকিৎসক, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামের পাশাপাশি এক্স-রে মেশিন ও এ্যাম্বুলেন্স সঙ্কট গোদের উপর বিষফোঁড়া হিসেবে ভর করেছে। ফলে প্রতিনিয়িতই চিকিৎসা সেবা প্রার্থীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

তৃণমুল জনগণের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২০০৪ সালের শেষ দিকে মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অর্ধ কোটি টাকা মুল্যের আরইএক্স-৩২৫ মডেলের এক্স-রে মেশিন বসানো হলেও গত ১৫ বছরেও তা আলোর মুখ দেখেনি। বছরের পর বছর ধরে তালাবদ্ধ কক্ষেই বিকল পড়ে রয়েছে মেশিনটি। ‘লোভোল্টেজ আর দক্ষ জনবল’ নেই এমন অজুহাতে পনের বছরেও চালু হয়নি পার্বত্য খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে মেশিন। আদৌ চালু হবে কিনা তাও নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না সংশ্লিষ্টরা।

এক্স-রে মেশিনটি চালু না হওয়ায় সেবা বঞ্চিত পাহাড়ি জনপদের দেড় লক্ষাধিক মানুষ। উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন এক্স-রে মেশিন স্থাপনের খবরে মাটিরাঙ্গার সেবা প্রার্থী মানুষ খুশি হলেও তা ফিকে হতে বেশিদিন লাগেনি। কাঙ্ক্ষিত এক্স-রে মেশিনটি আলোর মুখ না দেখায় এক্স-রে করানোর জন্য সেবা প্রার্থীদের ছুটতে হয় বেসরকারি ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে।

এদিকে গত দুই বছর ধরে গ্যারেজে তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে হাসপাতালের একমাত্র অ্যাম্বুলেন্সটি। গ্যারেজবন্দি অ্যাম্বুলেন্সে ধুলোর আস্তরণ পড়েছে। দুই বছরের মধ্যে নষ্ট হয়ে গেছে অ্যাম্বুলেন্সের অধিকাংশ যন্ত্রাংশ। এদিকে জেলার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যাম্বুলেন্স বন্টনে অসমতা রয়েছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।

মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. খায়রুল আলম জানান, রামগড়ে দুটি অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও আমাদের একটিও নেই। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যায়নি। এদিকে হাসপাতালের একমাত্র অ্যাম্বুলেন্সটি বিকল হওয়ায় রোগী পরিবহনে বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে রোগীর স্বজনদের।

জানতে চাইলে মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. খায়রুল আলম জানান, নানামুখী সঙ্কটে ভুগছে উপজেলা ‘দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে সংকট চলমান। চিকিৎসক সংকট প্রবল হওয়ায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে অ্যাম্বুলেন্সটি নষ্ট। হাসপাতালে একটি অ্যাম্বুলেন্স খুবই জরুরি। এক্সরে মেশিনটি নষ্ট হওয়ায় রোগীতে সেবা দিতে পারছি না। হাসপাতালের সংকট নিয়ে সিভিল সার্জনকে অবহিত করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: অ্যাম্বুলেন্স, এক্স-রে মেশিন, পার্বত্য
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন