মাতামুহুরী নদীর তরছঘাট পয়েন্টে হবে নতুন সেতু

fec-image

চকরিয়া উপজেলার পুর্ববড় ভেওলা ইউনিয়নে চকরিয়া থানা পুলিশ ও পুর্ববড় ভেওলা ইউনিয়ন কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির উদ্যোগে মাদক, জঙ্গি, ইভটিজিং, বাল্য বিবাহ নিরোধ সংক্রান্তে ও কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম বিষয়ে সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পুর্ববড় ভেওলা ইউনিয়ন কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে রবিবার রাতে অনুষ্ঠিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চকরিয়া পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম।

সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (চকরিয়া সার্কেল) কাজী মো.মতিউল ইসলাম।

পুর্ববড় ভেওলা ইউনিয়ন কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সহসভাপতি আবদুল গোফরানের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান, চকরিয়া উপজেলা কমিউনিটি পুলিশের সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম লিটু, চকরিয়া থানার কমিউনিটি পুলিশিং কর্মকর্তা ও চকরিয়া থানার এসআই আবদুল্লাহ আল মাসুদ, মাতামুহুরী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই চিরঞ্জীব দাশ প্রমুখ।

সমাবেশে স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবন্দ, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য, ইউনিয়ন কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সকল স্তরের নেতৃবৃন্দ ও সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।

এমপি জাফর আলম বলেছেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী কোন মাদক কারবারি, দখলবাজ, নারী নির্যাতনকারী, ইভটিজার এবং অপকর্মে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা। এসব অপকর্মে জড়িতদেরকে কোন ধরণের সমীহ করা যাবেনা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অপকর্মে যারা জড়িত থাকবে, তাদেরকে গ্রেফতার করবে। এলাকায় নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হলে এসব অপরাধীকে শায়েস্তা করতে হবে। সেইজন্য আমার পক্ষ থেকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেছেন, আগামীতে চকরিয়া-পেকুয়া উপজেলা হবে শান্তির জনপদ। এখানে কেউ অর্পকম করে পার পাবেনা। অনৈতিক কাজে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। বর্তমানে একজন সুদক্ষ পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে কক্সবাজারের পুলিশ সদস্যরা যথাযথ দায়িত্ব পালন করছে। কমিউনিটি পুলিশিং ও সুধী সমাবেশ প্রমাণ করে অপরাধ দমনে চকরিয়ার মানুষ সবসময় পুলিশকে সহায়তা দেবে।

তিনি সমাবেশে ঘোষণা দেন, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে মাতামুহুরী নদীর তরছঘাট পয়েন্টে কাঠের সেতুর বদলে একটি পাকা সেতু নির্মাণের ব্যবস্থা করবেন। যাতে পুর্ববড় ভেওলা ইউনিয়ন ছাড়াও উপকুলের চারটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন ঘটে।

সমাবেশে আলোচনা পর্বশেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: চকরিয়া, পুলিশ, সাংস্কৃতি
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন