parbattanews

মাতামুহুরী রেঞ্জে গাছ চাপায় মারা যাওয়া শ্রমিকের লাশ লুকানোর চেষ্টা

আলীকদম প্রতিনিধি:

লামা বন বিভাগের মাতামুহুরী রেঞ্জের কুরুকপাতায় এক কাঠশ্রমিক গাছ কাটতে গিয়ে মারা গেছে। এ নিয়ে আলীকদম থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হলেও কাঠচোরের হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে।

শনিবার সকালে এ শ্রমিক মারা গেলেও পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে সোমবার রাত এগারোটায়। নিহত ব্যক্তির নাম গিয়াস উদ্দিন (৫৩)। তিনি মহেশখালী উপজেলার মৃত আব্দু শুক্কুরের ছেলে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মঙ্গলবার সকালে বান্দরবান সদরে পোস্ট মর্টেমে পাঠিয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অসাধু একজন কাঠ ব্যবসায়ীর নিয়োগ করা লোক ছিল নিহত কাঠ শ্রমিক গিয়াস উদ্দিন। তিনি সঙ্গীয় শ্রমিকদের নিয়ে শনিবার সকালে মাতামুহুরী রিজার্ভের কুরুকপাতা ঝিরি এলাকায় গাছ কাটতে যান। সেখানে গাছ চাপা পড়ে তার মৃত্য হয়। কিন্তু অসাধু কাঠ ব্যবসায়ীদের অপতৎপরতায় এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করা হয়। এ কারণে উপজেলা সদর থেকে ২৫ কিলোমিটার দুরে ঘটনা ঘটলেও পুলিশকে না জানানোর কারণে লাশ উদ্ধারে বিলম্ব ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সোমবার রাত এগারটার দিকে আলীকদম থানায় নিয়ে আসে।

সূত্রে জানা গেছে, নিহত কাঠ শ্রমিক স্থানীয় কাঠ ব্যবসায়ী নাছির উদ্দিনের হয়ে অবৈধ গাছ কাটতে মাতামুহুরী রিজার্ভের কুরুকপাতা যায়।

এলাকাবাসী অভিযোগ করছেন, সাম্প্রতিক সময়ে মাতামুহুরী রিজার্ভে কাঠচোরের উপদ্রব বেড়েছে। বন বিভাগের মাতামুহুরী রেঞ্জের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঠুঁটু জগন্নাথের ভূমিকায় রয়েছে। বর্তমানে মাতামুহুরী রিজার্ভজুড়ে ২০টির অধিক করাতিদল দিনেরাতে বৃক্ষ নিধনে জড়িত আছে বলেও সেখানকার বাসিন্দারা অভিযোগ করছেন।

মাতামুহুরী রেঞ্জের বিট কর্মকর্তা মোহাম্মদ জলিল গাছ কাটতে গিয়ে শ্রমিক নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।

এ ব্যাপারে আলীকদম থানার অফিসার ইনচার্জ অপ্পেলা রাজু নাহা জানান, কাঠ শ্রমিক নিহতের ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু হয়েছে। লাশ পোস্ট মর্টেমে বান্দরবান সদরে পাঠনো হয়। সেখান থেকে নিহতের স্বজনরা লাশ নিয়ে দাফন করবেন।

Exit mobile version