parbattanews

মাতারবাড়ীতে বর্ষার আগে বেড়িবাঁধ সংস্কার না করায় আতঙ্কে উপকূলবাসী

মহেশখালী প্রতিনিধি:

মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী বেড়িবাঁধ সংস্কারের দাবি দীর্ঘদিনের হলেও সংশ্লিষ্ট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবোর) কর্মকর্তারা নানা অজুহাত দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বর্ষার আগে বেঁড়িবাধটি সংস্কার না করলে পুরো মাতারবাড়ী সাগরে পানিতে তলিয়ে যাবে বলে শংকায় রয়েছেন মাতারবাড়ীর শত শত পরিবার।

স্থানীয়রা বলেন, মাতারবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার মো.উল্লাহ’র আন্তরিকতায় ইউনিয়নের বিভিন্ন উপ-সড়কে উন্নয়ন কাজ চলতেছে। তিনি সাইট পাড়া বেঁড়িবাধ সংস্কার করার জন্য কক্সবাজার জেলা প্রশাসক, কক্সবাজার ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন।

এছাড়াও যানজট নিরসনে চেয়ারম্যানের নিজ উদ্যাগে করা হচ্ছে দৃষ্টি নান্দনিক বাইপাস সড়ক।

বিগত সময় ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বসে ব্যাপক ক্ষতি হয় মাতারবাড়ীতে। এখনোও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি অনেক অসহায় পরিবার। ঘুমানোর জন্য নেই কোনো নিরাপদ ব্যবস্থা।

কিন্তু এ নিয়ে খুব বেশি আক্ষেপ নেই তাঁদের। তবে সবার আগে স্থায়ী বেড়িবাঁধ চান তারা।

অপরদিকে মাতারবাড়ি ইউনিয়নের ষাইটপাড়া এলাকায় বেড়িবাঁধের ১ কিলোমিটার এলাকা নতুন করে সাগরে বিলীন হতে চলেছে।

গত এক মাসে সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের আঘাতে বেড়িবাঁধের এই ক্ষতি হয়। এ নিয়ে এক বছরের মধ্যে মাতারবাড়ির তিন কিলোমিটার বেড়িবাঁধের দুই কিলোমিটারই ধ্বসে গেছে। বেড়িবাঁধের বড় অংশ ধ্বসে যাওয়ায় আতঙ্কে দিন কাটছে মাতারবাড়ির ৭০ হাজার বাসিন্দার।

বেড়িবাঁধের বাকি এক কিলোমিটার অংশও যেকোনো সময় ধ্বসে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা তাদের।

তেমনটা হলে পুরো ইউনিয়ন সাগরের পানিতে তলিয়ে যাবে বলে এলাকার মানুষ মনে করে। ভাঙা বেড়িবাঁধের কারণে বন্যা ও জলাবদ্ধতার ঝুঁকির মধ্যে আছে ২৫টি গ্রামের অন্তত ৮০ হাজার মানুষ।

সরেজমিনে দেখা যায়, মাতারবাড়ি ইউনিয়নের পশ্চিমে সাইরার ডেইল ও ষাইটপাড়ার বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ সাগরের তীরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। সাগরের উত্তাল ঢেউয়ে ভাঙছে ঝাউগাছের লাগোয়া বেলাভূমি।

মাতারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, মাতারবাড়ী ইউনিয়নটি বঙ্গোপসাগরের মোহনায় হওয়ায় যেকোনো মুহূর্তে ষাইটপাড়ার বেড়িবাঁধ ভেঙে পুরো এলাকা সাগরে গর্ভে তলিয়ে যাবে। মাতারবাড়ীকে রক্ষা করা সম্ভব হবে না।

কিন্তু ভাঙা বাঁধ সংস্কারের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন দফতরে লিখিতভাবে আবেদন করলে সম্প্রতি ভাঙা বাঁধ মেরামত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাকে জানিয়েছেন বলে জানান।

মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জামিরুল ইসলাম বলেন, নতুন করে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে সাগরে বিলীন হয়ে যাওয়ায় স্থানীয় এলাকাবাসী অনেকটা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে বলে শুনেছি। তাই বাঁধটি সংস্কারের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলীকে অবহিত করা হয়েছে।

Exit mobile version